মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের সুপার মার্কেট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দলটির ২০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেট চত্বরে জমায়েত হতে থাকে। পরে জেলা বিএনপি মিছিল বের করলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ এতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যানার কেড়ে নেয় এবং কয়েক দফায় লাঠিচার্জ করা হয়।
পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ছুড়ে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম সেখানে পৌঁছালে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ জেলা নেতাকর্মী ওপর লাঠিপেটা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। লাঠিচার্জে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, যুগ্ম-সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষজন দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে চলে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মোদাররেস আলী ইছা, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, রউফ-উন-নবী, মোজাম্মেল হোসেন মিঠু, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, লিটন বিশ্বাস, নাফিজুল রহমান সবুজ, সুলতান মাসুদ, ইয়কুব শেখ, লস্কর দিয়া ইউনিয়ন বাবুল তালুকদারসহ ২০ নেতাকর্মীকে আটক করে।
এদিকে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম ফরিদপুর প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে ভয় পাচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ যেভাবে নগ্ন হামলা চালিয়েছে তা ন্যাক্কারজনক। যতই হামালা চালানো হক বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষ মাঠে নামতে শুরু করেছে। ওদের পতন এবার নিশ্চিত।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
জিপি