একুশে ফেব্রুয়ারি (বুধবার) খালেদা জিয়াকে ছাড়াই এবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালনে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় ও গুলশান চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় সূত্র জানায়,দলের চেয়ারপারসনের পদে আসীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবারই খালেদা জিয়ার নেতৃতেই বিএনপি একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিতে অংশ নেয়। কিন্তু এবার দলীয় প্রধান কারাগারে আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও লন্ডনে। এ কারণে এবার মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি।
জানা যায়, দলীয় প্রধানের অনুপস্থিতিতে দলের মহাসচিবের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, মহানগরীর নেতা-কর্মী, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এছাড়া প্রতিবছর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে রাত থেকে কর্মসূচি পালন করা হলেও এবার তা রাখা হয়নি। বুধবার ভোর ৬ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বাংলানিউজকে বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া শহীদ মিনারে যাবো এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার। পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দ্বিতীয় বারের মতো তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করতে পারছেন না। এর আগে ১/১১ এর সময় এমনটা হয়েছিল।
‘এবারও তাকে ছাড়াই বিএনপি শহীদ মিনারে যেতে হচ্ছে। প্রতিবছর দলের চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে রাতে শহীদ মিনারে প্রোগ্রাম থাকতো। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর পর দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি শহীদ মিনারে যেতেন। এবার তিনি না থাকায় রাতের প্রোগ্রাম আমরা করছি না। সকালে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বাংলানিউজকে বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, দলের ভাইস চেয়ারম্যানণ, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যগণ ছাড়াও অনেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাবেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খালেদাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর পর নেতাকর্মীরা একটা শোকের পরিস্থিতিতে রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে যথেষ্ট মনোবল রয়েছে।
‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনার জন্যই তারা যে কোনো ধরনের আন্দোলনেই অংশগ্রহণ ও সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। যেখানে যে কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে সেখানে সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ’
দেশজুড়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই ধারা অব্যাহতভাবে ধরে রাখতে পারলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের টার্গেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এএম/এমএ