তিনি বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হয়, ততদিন আমাদের এই আহ্বান অব্যাহত থাকবে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২১ ফেব্রয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ভিত্তি। এই দিনে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা আন্দোলন। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছিল।
‘এই দিনে আমরা বিএনপি ও দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। আজকে এমন সময় এ দিবস আমাদের পালন করতে হচ্ছে, যখন দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। সমস্ত রীতি-নীতি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ’
ফখরুল বলেন, বিচার বিভাগ থেকে শুরু সংসদ পর্যন্ত দলীয়করণ করা হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের ‘দেশনেত্রী’ খালেদা জিয়া সংগ্রাম করছিলেন। অথচ আজ তাকে একটি ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে দিন যাপন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র ও ‘দেশনেত্রীকে’ মুক্ত করার জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলবো। যে সরকার জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছে, তাদের সরিয়ে আগামী নির্বাচনে পরাজিত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এর আগে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা এবং পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নাল আবদীন ফারুক, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এএম/এইচএ/