ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সমাবেশের অনুমতি মেলেনি, কালো পতাকা মিছিল শনিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
সমাবেশের অনুমতি মেলেনি, কালো পতাকা মিছিল শনিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন/

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। এ লক্ষ্যে অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করলেও এখনো অনুমতি পায়নি দলটি। 

এর প্রতিবাদে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি।  

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

 

রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। বিএনপি যাতে সমাবেশ করতে না পারে সেজন্য যতো উদ্যোগ নেয়া দরকার সেটি তারা করেছে। এটা সরকারের গণতন্ত্র বিরোধী, জনগণের অধিকার হরণমূলক আচরণ।  

তিনি বলেন, বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত পুলিশ আমাদের কোনো জবাব দেয়নি। যার প্রতিবাদে শনিবার  রাজধানীতে দলের পক্ষ থেকে কালো পতাকা মিছিল করা হবে।  

রিজভী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন- বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। তাহলে আজ কেন সমাবেশের অনুমতি দেননি? 

তিনি আরও বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান তার শিক্ষা এবং পেশার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি যে রায় দিয়েছেন সেখানে বিচারকের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে আমাদের আগের বক্তব্যগুলো প্রমাণিত হয়েছে। খালেদা জিয়া আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, বিচারক সেই বক্তব্য বিকৃত করে রায়ে তা উদ্ধৃত করেছেন। ’

এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।  

এর আগে দলের চেয়ারপারসনের সাজার প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবিতে তিন ধাপে কর্মসূচি পালন করে। সেই কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছিলো দলটির সিনিয়র নেতারা। এর মধ্যে প্রথম ধাপে দুই দিনে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেয় দলটি, এরপর দ্বিতীয় ধাপে মানববন্ধন, অবস্থান, অনশন পালন করার পর তৃতীয় ধাপে গণস্বাক্ষর অভিযান, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং সবশেষ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে দলটি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।