শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিএনপির আইনজীবীরা অপেক্ষা শেষে ফিরে যান।
এসময় গণমাধ্যমে অভিযোগ করে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি রাখতেই ওকালতনামায় সই না দিতে কারা কর্তৃপক্ষ কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর তাকে চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার মধ্যে একটি মামলা কুমিল্লায়, একটি নড়াইলের ও দু’টি মামলা ঢাকার সিএমএম আদালতের। অনেকবার চেষ্টা করেও ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি। ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য আবেদন করা হবে।
তিনি জানান, এর আগে কারাগারে ১৯টি ওকালতনামা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে নড়াইল ও সিএমএম কোর্টের মামলার ওকালতনামাও ছিলো। কারা কর্তৃপক্ষ কেবল কুমিল্লার একটি মামলার ওকালতনামা স্বাক্ষর করিয়ে সরবরাহ করেছে। বাকি ওকালতনামা স্বাক্ষর করে জেল অথরিটি ফিরিয়ে দেয়নি।
এই আইনজীবী আরও জানান, নড়াইল ও সিএমএম কোর্টের তিনটি মামলার ওকালতনামায় স্বাক্ষর করাতে এসেছিলাম। আমাদের কাছ থেকে সেই ওকালতনামা নিয়ে ভেরিফাই করেছেন জেল অথরিটি। কিন্তু ওই তিনটি ওকালতনামায় স্বাক্ষর এনে দিতে বিব্রতবোধ করেছে তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে কারণ মনে হয় তা, হলো একটি ওকালতনামা দিয়েছে। ওই মামলায় জামিন হওয়ার পর যখন জামিননামা কারাগারে পাঠাবো তখন তারা একেকটি করে কারাগারের কাস্টডিতে পাঠাবে। সেজন্য তারা আমাদের ওকালতনামা দেয়নি।
এসময় অ্যাডভোকেট জয়নাল আবদিন মেজবাহ, অ্যাডভোকেট তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ, অ্যাডভোকেট জিয়াউদ্দিন জিয়া, অ্যাডভোকেট কালাম খান সঙ্গে ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
এএম/জেডএস