মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সন্ধায় রাজধানীর কাকরাইলে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির(এলডিপি) ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত সম্মেলনে দলের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ এ আহ্বান জানান।
ড. রেদোয়ান বলেন, 'বিএনপিকে অনুরোধ করবো, নিবন্ধিত ৮ টি দলের সঙ্গে আলোচনা করুন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা কর্নেল অলী আহমেদ, জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক), জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের নেতাদের সঙ্গে বসে যার যেখানে নির্বাচন করার মতো প্রার্থী আছে সেটা ক্লিয়ার করে দেন। তাহলে আর কোনো দ্বন্দ্ব থাকবে না। আজকে এলডিপির যারা প্রার্থী আছে ও জোটের প্রার্থী আছে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংর্ঘর্ষ হয় না, হয় বিএনপির সঙ্গে। আসন বণ্টন হলে আমাদের চলার পথ সুগম হবে।
এলডিপির মহাসচিব যোগ করেন 'বিএনপির মহাসচিব বললেন, এখন সিট বন্টন নিয়ে কথা না বলি, এখন দেশনেত্রীকে মুক্ত করাই হবে আমাদের প্রথম দায়িত্ব এবং কর্তব্য। পরে জোটে যারা যোগ্য আছেন তারা অবশ্যই নির্ববাচনে অংশগ্রহণ করবেন। '
ড. রেদোয়ান বলেন, এরপর আমি দলের নেতাদের আমি বলেছি, দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের যারা যোগ্য প্রার্থীরা আছে তাদেরকে স্ব স্ব এলাকায় ভিত্তি মজবুত করতে এবং নির্বাচনের জন্য কাজ করতে। বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের নেতা কর্নেল অলী আহমদ অবশ্যই আপনাদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেবেন। বিএনপি যদি সারাদেশে নির্দেশ দিয়ে প্রত্যেক আসনে তিনজন করে প্রার্থী বাছাই করতে পারে তাহলে এলডিপিও অন্তত প্রতিটি আসনে ১ জন করে প্রার্থী বাছাই করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে ইবরাহিম বীর প্রতীককে মহাজোট থেকে বলা হয়েছিল ১০ জন এমপি ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী করে রাখা হবে। আমরা তখন বলেছিলাম, আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তি বিএনপির সঙ্গে আছি, এখান থেকে যেতে চাই না, মন্ত্রিত্ব চাই না। শেখ হাসিনার সঙ্গে আমরা যাবো না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এইদেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়বো, সুষম বন্টন নীতিকে দেশে প্রতিষ্ঠা করবো।
আসন বন্টন নিয়ে গণমাধ্যম থেকে এলডিপির সভাপতি ড. কর্নেল(অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কৌশলী উত্তর দিয়ে বলেন, ‘বিয়ে হয়নি, কিন্তু ছেলে হবে কবে এই প্রশ্নের উত্তর কি দেবো। আগে বিয়েটা হোক। ’
কর্নেল অলি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের একটা উদ্দেশ্য থাকে যে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। এই সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে কিন্তু জনগণের হৃদয় জয় করতে পারেনি। তারা এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন দেয় তাহলে তারা ৫০ টি আসনও পাবে না। জোর করে ৫ বছর না হয় থাকলেন, এরপর কোথায় যাবেন? আজ দেশের কোনো মানুষ শান্তিতে নেই। সর্বত্রই অশান্তি বিরাজ করছে। যারা দুর্নীতি করছে তারও অশান্তিতে আছে। আবার যারা গরিব অসহায় তারাও শান্তিতে নাই।
সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সত্য উপলব্ধি করতে হবে। শুধু উন্নয়ন করলে হবে না। মানুষের কাছে যেতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে ঝিমিয়ে গেছে বিএনপি জানিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সকল বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসী, আবু ইউসুফ খলিলুর রহমান ও আব্দুল গণি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ০৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এএম/জেএম