বুধবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘নির্বাচনে সেনা মোতায়েন: নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানেন এই আন্দোলন কতটা বেগবান হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, একটি দেশের প্রশাসন মেধাভিত্তিক না থাকলে সে দেশ রক্ষা করা সম্ভব নয়। কোটা হতে পারে ততটুকুই যতটুকু একেবারে না হলেই নয়। আন্দোলনটি ছিল ছাত্রদের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রতিফলন। তাদের অনেকদিনের জেদের ফল আজকের এই বিশাল আন্দোলন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ক্ষোভ প্রকাশিত হয়েছে এই আন্দোলনের মাধ্যমে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চারটি শর্ত মেনে নিতে হবে দাবি করে মওদুদ বলেন যেসব শর্ত মেনে নিলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হচ্ছে- নির্বাচনের ৯০ দিনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।
খালেদা জিয়াকে নিজস্ব চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি করে তিনি বলেন, তারা যে মেডিকেল বোর্ড করেছে তা আমরা মানি না। কারাবরণের নামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খালেদা জিয়াকে রেখে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ