তিনি বলেছেন, আন্দোলনকারীদের দাবিকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কোটা বাতিলের কথা বলেছেন।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী একথা বলেন।
সরকার প্রধানের কোটা বাতিলের ঘোষণা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘সংবিধানে জাতি-গোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের কোটা দেওয়ার বিধান সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। সরকার শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের দাবিকে আমলে নেয়নি। আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রী ও চাকরি প্রার্থীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানসহ প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের কোটার বিরোধিতা করেননি। তারা কোটা পদ্ধতির সংস্কার চেয়েছে। এই ঘোষণায় সরকারের কূটচাল রয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দমানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা অপকৌশল প্রয়োগের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে যতো না কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল সমস্যাটি সমাধানের দিক নির্দেশনা এসেছে, তার চেয়ে বেশি এসেছে ক্ষোভ প্রকাশ, বিরক্তি ও হুমকি। ’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিলেন সেটি বাস্তবায়িত হলে এর বিরুদ্ধে যে কেউ রিট করলে তা বাতিল হয়ে যাবে। কারণ সংবিধানে এ বিষয়টি নিয়ে সুষ্পষ্ট বিধান রয়েছে। কিন্তু কোটার যে বিষয়গুলো বিধানে নেই, সেগুলো সংবিধান সংশোধন ছাড়াই সরকার সংস্কার করে তা কমিয়ে আনতে পারে। ’
সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসিকুর রহমান, সন্তোষপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-ধারণ সম্পাদক জরুল হাওলাদার এবং যুবদল নেতা জাহিদকে গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবিলম্বে এই নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
এমএইচ/জিপি