সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মঞ্জু বলেন, মহানগরীর ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুকের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরো বলেন, যারা ফারুক এবং রাজ্জাকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন, তারা বলেছেন আমরা ময়লাপোতা মোড় থেকে এসেছি। এটি ইঙ্গিতবহ, আমরা তাদের দায়ী করতে চাই না। ১৫নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতির বাড়িতে পুলিশ গিয়েছে। পুলিশকে আমরা বলেছি, সন্ত্রাসীর তালিকা বানাতে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা বানিয়ে অভিযান শুরু করেছে। এখানে ডন বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী আছে। যারা মানুষ হত্যা করেছে। জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে, সেখানের ভোটের ফলাফল ছিনতাই হয়েছে। খুলনা শিশু ফাউন্ডেশনের নির্বাচনে ব্যালট বক্স ছিনতাই হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। যারা চাঁদাবাজি করেছে, টেন্ডারবাজি করেছে; পুলিশের খাতায় সন্ত্রাসী হিসেবে তাদের নাম নাই। এই শহরে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে যারা মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে পুলিশের সাজানো মামলার আসামি হয়েছে আজকে তাদের তালিকা করা হয়েছে।
মঞ্জু বলেন, এই শহরের মাদকের প্রসার ঘটার খবর শহরবাসীকে উদ্বিগ্ন করেছে। বিনাভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধির দুদকে তলব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া প্রতিবেদন; এ নিয়ে সরকারি দল আবার নতুন প্রচারে নেমেছে। যে প্রচার হাস্যকর।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে যদি ভোট ডাকাতি হয়; তাহলে বাংলাদেশে অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হবে না। কারণ, সরকার যে ভোট ডাকাত, আওয়ামী লীগ যে আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করবে সেটি প্রমাণিত হবে। একই সাথে নির্বাচন কমিশনের কোমর যে কতটা শক্ত; যেটি এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হবে। এখানে যদি ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বিএনপি কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না। বিএনপি কর্মীরা প্রস্তুতি নিয়েছে ভোট ডাকাতি প্রতিরোধের।
মঞ্জু বলেন, ভোটারদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করতে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবার দরকার নাই বলে প্রচার করছে। ভোট কেন্দ্রে নাকি গন্ডগোল হবে? ভোটারদের ভোট কেন্দ্রমুখী থেকে ফিরিয়ে দেবার আওয়ামী চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এ চক্রান্ত সফল হবে না ইনশাআল্লাহ্। সোনালী জুটমিলের সভা শেষের পর সিবিএ সভাপতিকে পুলিশ হুমকি দিয়েছে। যাতে কেউ আমাদের মিটিং করতে মিলনায়তন ও হোটেল ভাড়া না দেয় সে জন্য বাধা দেওয়া হচ্ছে। ক্রিসেন্ট জুট মিলে আমাদের মিটিংয়ের জন্য ভাড়া দেবার পরও সভার একঘণ্টা আগে তারা বরাদ্দ বাতিল করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, বিএনপি নেতা শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, আব্দুল জলিল খান কালাম, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান, মো. ফকরুল আলম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এহতেশামুল হক শাওন ও শামসুজ্জামান চঞ্চল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এমআরএম/এমজেএফ