ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

বিএনপি

দেশে এখন শ্বাসরোধী পরিবেশ: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮
দেশে এখন শ্বাসরোধী পরিবেশ: ফখরুল

ঢাকা: ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তারেক রহমানের ১১তম কারামুক্তি দিবসে’ দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিনি (তারেক) এখনও কারামুক্ত নন। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনের অবৈধ সরকার ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে।

আটকের পরপর তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এখনও সেই ক্যাম্পেইনের ধারাবাহিকতা আছে। ফখরুদ্দিন-মইন উদ্দিনের কর্তৃত্ববাদী এবং বেআইনি অগণতান্ত্রিক সরকার গণতন্ত্র এবং তাদের সঙ্গে যারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দিয়ে নানা চক্রান্তের জাল বুনতে থাকে। মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে হেয় করার জন্য পুরো রাষ্ট্র শক্তিকে তারা ব্যবহার করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের কোথাও তার (তারেক) বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। তারপরও দিনের পর দিন রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হয় তাকে।

তারেক রহমানের ‘কারামুক্তি দিবস; এবার যথাযথভাবে পালন করতে পারেননি জানিয়ে ফখরুল বলেন, কারণ দেশে এখন অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশ।

এখন পর্যন্ত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি দাবি করে ফখরুল বলেন, একটি মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দেওয়ায় বিচারককে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছিল। পরে ওই মামলায় তড়িঘড়ি করে পুনরায় তাকে সাজা দেওয়া হয়।

বর্তমান সরকার ১-১১ সরকারের ‘এক্সটেনশন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১-১১ এর সরকার যে মামলায় তারেক রহমানের নাম দিতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূরক চার্জশিটে তার নাম দিয়েছে।  

বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে মিথ্যা হয়রানিমূলকভাবে আটক রাখা হয়েছে দাবি করে ফখরুল বলেন, এক ব্যক্তির ক্রোধ ও হিংসার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় আমরা তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালন করছি। কিন্তু আমি মনে করি, তিনি কারামুক্ত নন। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ,  যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩,  ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।