তিনি বলেন, তাকে অভুক্ত রেখে, বিনা চিকিৎসায় ভোগানোর জন্য কারাবন্দি রেখেছেন শেখ হাসিনা। কারাবন্দি খালেদা জিয়ার ভাগ্য আদালতের ওপর নির্ভরশীল নয়, তা নির্ভর করে শেখ হাসিনার মর্জির ওপর।
রোববার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে বেশ উৎকণ্ঠায় দেশবাসীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা। তিনি এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে, তার বাম হাত ও পা প্রায় অবশ হয়ে যাচ্ছে। চলফেরা দূরের কথা, তিনি উঠে দাঁড়াতেও পারছেন না। সাংবাদিকরা তার এ অবস্থা সচক্ষে দেখে পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, এতোকিছুর পরেও গতকাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও কারাকর্তৃপক্ষ একই সুরে বলেছেন যে খালেদা জিয়া ততটা অসুস্থ নন। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়া পূর্বে যেসব রোগে ভুগতেন এখন সেসব রোগেই ভুগছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ও কারাকর্তৃপক্ষের বক্তব্য খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তাচ্ছিল্য বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তার জীবনকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, যা কঠিন অমানবিকতারই এক নিষ্ঠুর বর্হিপ্রকাশ। অসুস্থতা নিয়ে হানিফ ও কারা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নিষ্ঠুর রসিকতা। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে নিঃশেষ করে দিতেই আওয়ামী সরকার তাকে চিকিৎসা না দিয়ে নিষ্ঠুর ও অমানবিক পথ বেছে নিয়েছে। কালবিলম্ব না করে খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড বা অন্য কোনো বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
তিনি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহে সারাদেশে লক্ষাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এটা সরকারের শেষ সময়ে মরণকামড় বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ