ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন নজরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন নজরুল বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। ছবি-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারকে আলোচনায় বসার আবেদন, অনুরোধ ও দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার ব্যবস্থা করা হোক। সেখানে যুক্তিগ্রাহ্য সমাধান করে একটি সুষ্ঠু,  অংগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের আয়োজন করা হোক।  

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহম্মদ সিদ্দিকীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নজরুল বলেন, আমাদের সংবিধান বলে, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনকালীন সরকার কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। কিন্তু আমরা দেখি, যদি দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকে তাহলে সে সরকার কমিশনকে সহায়তা করে না বরং প্রভাবিত করে। আমরা প্রভাবিত করার সরকার চাই না, নির্বাচনকালে একটি সহায়তাকারী সরকার চাই।

বর্তমান সরকারের আন্দোলনের ফসল এক/এগারোর সরকারের সময় যে চার্জশিট (গ্রেনেড হামলা মামলার) দেওয়া হয়েছিল তাতে তারেক রহমানের নাম ছিল না দাবি করে নজরুল বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় এসে এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়, যিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি ওই মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানকে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে তাকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বলিয়েছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আর কোনো সাক্ষী না পেলেও তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ তারিখ আর একটা রায় হবে, সে রায়ে কী হবে অনুমান করা যাচ্ছে। সেখানেও সরকারের যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তারই প্রতিফল ঘটবে।

অর্থমন্ত্রীর অনেক কথা হাস্যকর উল্লেখ করে তার উদ্দেশে নজরুল বলেন, সাংবাদিকরাও অর্থমন্ত্রীর কথা শুনে হাসে। আপনি বললেন, কামাল হোসেন জিরো। বিচারপতি সাত্তারের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী দেওয়ার জন্য আপনার দল আর যোগ্য লোক খুঁজে না পেয়ে তাকেই প্রার্থী করেছিল। আর আজ তিনি জিরো। স্বাধীনতার পর প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী যিনি আপনাদের সরকারের মন্ত্রী ছিলেন চার খলিফার একজন তিনিও জিরো। আর যে বিএনপি বার বার নির্বাচনের মাধ্যমে আপনাদের পরাজিত করেছে সেই বিএনপিও জিরো। আর আপনি সরকারি চাকরি করে এরশাদের মন্ত্রী হলেন, উপদেষ্টা হলেন পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্লাস হয়ে গেলেন?

খালেদা জিয়ার, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিষয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কী পরিমাণ হলে একজন অসুস্থ রোগীকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়? সাধারণ মানুষ এসব দেখছে। সাধারণ মানুষ সব সময় প্রতিবাদ করে না। কিন্তু যখন করে তখন তাদের প্রতিবাদের সামনে আর কিছু বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

আফসার আহমদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়াপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, রফিক সিকদার প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহানারা সিদ্দিকী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
এমএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।