ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

যে কোনো অবস্থায়ই ভোটে থাকবে ঐক্যফ্রন্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
যে কোনো অবস্থায়ই ভোটে থাকবে ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও কাদের সিদ্দিকীসহ অন্যান্য নেতারা। ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে কোনো অবস্থায়ই নির্বাচনে থাকবে বলে জানিয়েছেন ফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনে থাকবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করবে।

 

শুক্রবার (৩০ নভেম্বর)  রাত ৯টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা বিভিন্ন মিডিয়ায় কটূক্তি করেছেন যা মোটেও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। তার চরিত্র হরণ করা হচ্ছে। ড. কামাল হোসেন বর্তমানে এদেশের একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি দেশের এই ক্রান্তিকালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজ ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে যারা কথা বলছেন তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। গুম করে দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদ করছেন ড. কামাল হোসেন। তার চরিত্র হরণ ও তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদ করছি আমরা।
 
তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন একজন প্রথিতযশা আইনজীবী। তিনি এই সরকারের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে একটি মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। জামিন দেওয়া হচ্ছে না। জামিন তার প্রাপ্য। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।  

আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে এবং মনোনয়নপত্র দাখিলের পরের অবস্থা পর্যালোচনা করেছি। আমরা দেখেছি, এই স্বৈরাচারী সরকার অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনগণের অধিকার হরণ করছে। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের যে অপচেষ্টা চলছে, সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপরে চড়াও হয়েছে, অভিযোগ ফখরুলের।  

এই নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, একইভাবে গণতান্ত্রিক কর্মীরা যেন মাঠে না থাকতে পারে, নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে তার জন্য পুরনো কায়দায় মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমনকি মনোনয়নপত্র দাখিলের পরও গ্রেপ্তার চলছে। তিনজন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুতরাং নির্বাচনের যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তার ন্যূনতম অবকাশ নেই। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। অবিলম্বে গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। যেটা প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণার পরে আর কোনো গ্রেপ্তার করা হবে না। অথচ দুঃখজনকভাবে গ্রেপ্তার চলছে। অবিলম্বে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।  

তিনি বলেন, ঘরে ঘরে যে তল্লাশি চলছে তা বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। অন্যথায় এই নির্বাচনে যে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে তার সব দায় দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে। শনিবার বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন ড. কামাল হোসেন।  

আসন বন্টন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আসন বন্টনের হিসাব ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরে পাবেন। ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারের কাজ চলছে। শিগগির এ বিষয়ে জানানো হবে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, কাদের সিদ্দিকী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আবদুল মালেক রতন, শহীদুল্লাহ কায়সার, শহীদুল ইসলাম স্বপন, হাবিবুর রহমান তালুকদার, ডা. জাহেদ উর রহমান।     

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩  ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।