শনিবার (০১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন সরকার রাষ্ট্রীয় অর্থে বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসিত সাইবারযুদ্ধ শুরু করেছে।
রিজভী বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার ইত্যাদি সামাজিক মাধ্যমে বিদ্বেষমূলক বিভিন্ন সুপার ইমপোজ করা ছবি, টেম্পারড নকল অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। মূলত এইসব নির্জলা মিথ্যাচার, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অশ্লীল রুচিহীন প্রোপাগান্ডা চালিয়ে তাদের দশ বছরের গুম-খুন-অত্যাচার-নিপীড়ন-জেল-জুলুম-সর্বগ্রাসী লুটপাট ও দুঃশাসন থেকে সরকার ভোটারদের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এই ধরনের গর্হিত অপকর্মে অর্ধ শতাধিক অনলাইন পোর্টাল, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ ব্যবহার করছে। বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। নামে-বেনামে ভুয়া আইডির ফেসবুকে প্রতিদিন হাজার হাজার ডলার ব্যয় করে প্রমোশন দিয়ে বুস্ট করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রোপাগান্ডার কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হলো আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডি অফিসে স্থাপিত ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)’। যার চেয়ারম্যান এবং হেড অব স্ট্রাটেজি অ্যান্ড প্রোগ্রামার ট্রাস্ট্রি প্রধানমন্ত্রীর আপনজনরা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যেসব নেতা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রস্তাবক ও সমর্থকদের রোববার (০২ ডিসেম্বর) নিজ নিজ রিটার্নিং কর্মকতার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নজমূল হক নান্নু, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস