বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের র্যালিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পরদিন বিএনপির ২৮ জন নেতাকর্মীর নামসহ অজ্ঞতনামা আরো ৩/৪’শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ৪১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল হক। মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার বড়বাড়ির বাসিন্দা হারুন মিয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অপর একটি মামলায় ঢাকা কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় আসলাম নামে একজন লালমনিরহাট কারাগারে রয়েছেন।
অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মণ্ডল ৩২৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল হক বাংলানিউজকে জানান, মামলাটি তদন্ত করে ৪১৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
লালমনিরহাট কোর্ট পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, আদালত এ মামলায় ৩২৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় আদালতের আদেশনামা পাঠানো হচ্ছে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম দিকে এ মিথ্যা মামলায় ২৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে পুলিশ। এখন নির্বাচনে বিএনপিকে নেতাকর্মী শুন্য করতে এবং গণগ্রেফতারকে বৈধ করতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
এনটি