শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নেত্রকোনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলাল উদ্দিনের ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।
** আ’লীগের প্রচারণায় ইটপাটকেল-অগ্নিসংযোগ, আটক ২২
মামলায় নাম উল্লেখ নেতাদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আজিজুল হক সবুজ, সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনাম আহম্মেদ, জেলা যুবদলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সারোয়ার আলম এলিন, আশরাফুল ইসলাম মিন্টু, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ঝুনু খান মিল্কীকেও আসামি করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান উদ্দিন খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এরআগে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা নেত্রকোনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শেখ হেলাল অভিযোগ তোলেন তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
হামলার অভিযোগে নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ডা. আনোয়ারুল হকের নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করেন হেলাল। অভিযোগে তিনি জানান, ‘শহরের হাসপাতাল রুটে নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় স্টেন ফ্যানে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ ও পরে ডা. আনোয়ারুলের বাসা থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে এ ঘটনায় প্রার্থী আনোয়ারুলের বাসা থেকে ২২ জন বিএনপি নেতাকে আটক করে পুলিশ। ’
ধানের শীষ মনোনীত নেত্রকোনা-২ আসনের প্রার্থী ডা. আনোয়ারুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন প্রথমে আমার চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান নাবিলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পরে বাসায় হামলার চেষ্টা চালিয়ে দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পুলিশ উল্টো আমার নেতাকর্মীদের বিনা অপরাধে ধরে নিয়ে যায়। বিএনপির জনসমর্থন দেখে ভয় পেয়ে আওয়ামী লীগ এ ধরণের আচরণ করছে শুধুমাত্র নির্বাচনকে ব্যাহত করতে। ’
পদন্নোতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) ও নেত্রকোনা জেলা পুলিশে (প্রশাসন) দায়িত্বে থাকা এ.এম আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ‘দেশবাসীকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে জেলা পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকায় রয়েছে। বিনা অপরাধে কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হচ্ছে না। পুলিশ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ও অতীতের মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ধরা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
জিপি