ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

যশোরে বিএনপিপ্রার্থী অমিতের নিরাপত্তা শঙ্কা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
যশোরে বিএনপিপ্রার্থী অমিতের নিরাপত্তা শঙ্কা সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানান অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

যশোর: যশোর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের পুত্র অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শনিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানান তিনি।

ধানের শীষের প্রার্থী অমিত অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সারাদেশের মতো যশোরেও হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

যশোর সদরের কচুয়া, নরেন্দ্রপুর, কাশিমপুর, রামনগর, লেবুতলা, চুড়মনকাঠি, উপশহরসহ প্রতিটি এলাকার ধানের শীষের কর্মী ও সমর্থকদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে, মামলার কপি থানা থেকে আমাদের দেওয়া হচ্ছে না।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, গত দুই দিনে আমাদের ৪৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে ২টি মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ১০ বছর ধরে আমরা বাড়ি ছাড়া। এখন নির্বাচনী কার্যালয়, চায়ের দোকান অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের কর্মীদের আটক করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর নির্বাচনী প্রচারণা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হয় হামলা, না হয় গ্রেফতার করা হচ্ছে।

অমিত অভিযোগ করেন, সহিংসতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, তা হচ্ছে প্রচার গাড়ির চালককে মারধর। শুক্রবার বিএনপির একটি প্রচার গাড়ির চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি থাকতেও সাহস পাননি। এর আগে আরও একজন গাড়ির চালককে মারা হয়েছে, মাইক ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি ওই গাড়ি উদ্ধার করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

অমিত বলেন, আমরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি। এমনকি ইলেকট্ররাল কমিটিকেও জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফল পাচ্ছি না। শনিবার সকালেও শহরের চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে পুলিশ প্রশাসনের বেশ কয়েকটি গাড়ি আমাদের কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে এক ধরনের আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করে। দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবলের দৃঢ়তা এবং মিডিয়া  কর্মীদের উপস্থিতির কারণে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
ইউজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।