ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপিপ্রার্থী মুক্তাদির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপিপ্রার্থী মুক্তাদির নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির

সিলেট: সিলেট-১ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি নিজেই।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে এমন অভিযোগ করেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

তিনি বলেন, রোববার থেকে তাকে কয়েকবার গ্রেফতারের চেষ্টা করেছে পুলিশ।

অবশ্য সভা-সমাবেশে ও প্রচারণায় জনসাধারণের বিপুলসংখ্যক উপস্থিতি থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

গত দুই দিনে বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযোগ করে  গ্রেফতার নেতাকর্মীদের একটি তালিকা দেন খন্দকার মুক্তাদির। অন্যান্য নেতাকর্মীদেরও হয়রানি ও গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তালিকানুযায়ী ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার নেতাকর্মীর মধ্যে আছেন, সিলেট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, মহানগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার, জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক অলিউর রহমান ড্যানি, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক রোম্মান আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল আহমদ, যুবদল নেতা গাজী লিটন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সদস্য মির্জা জাহেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ ঘোষ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহাজান আহমদ, কান্দিগাঁও ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান চমক আলীর ছেলে সোহেল আহমদ, ছাত্রদল নেতা জাহেদ আহমদ (২), সুহেব খান, তানজিল আহমদ, ১৬নং ওয়ার্ড জাসাসের সাধারণ সম্পাদক রোমান খান, হাবিবুর রহমান ডালিম ও খোরশেদ আলম।

অভিযোগ করে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরন মাহমুদের নেতৃত্বে বালুচরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলায় ছাত্রদল নেতা শাহজাহান গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই তারা প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তাদির।

তিনি বলেন, সিলেটে অবাধ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যেভাবে গায়েবি মামলা করা হয়েছিল, নির্বাচনের ঠিক আগে এভাবেই তাদের নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। গত দুদিনে বিমানবন্দর থানায় ৫৭ জন এবং দক্ষিণ সুরমা থানায় ৫১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকস্থানে নির্বাচনী জনসভা চলাকালে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, সরকার আমাদের নেতাকর্মীদের দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিতে চায়। নির্বাচনের দিন নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। কোনো মামলা-হামলা করে তাদের দমানো যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আজমল বখত সাদেক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।