বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে বুকে ‘কালো ব্যাজ’ ধারণ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এ কর্মসূচি বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে ৪টায় শেষ হয়।
আ স ম রব বলেন, ঐক্যফ্রন্ট ছিল, আছে থাকবে। লাখ লাখ নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়াসহ সবার মুক্তি দিতে হবে। আজকে ভোট ডাকাতি করে সরকার উৎসব করছে। যে দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনিয়ম করে, সেখানে ভবিষ্যৎ থাকে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের পুলিশ, বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। মেগা উন্নয়নের নামে তারা মেগা দুর্নীতি করেছে। এই হলো উন্নয়নের নমুনা। এটাই স্বৈরাচারী সরকারের চরিত্র।
গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের অবস্থা মর্মান্তিক। মানুষের ভোটাধিকারকে কবর দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে পুরস্কার দেওয়ার উৎসব। অপেক্ষা করেন, সামনে প্রশাসন ও পুলিশের রঙ্গলীলা দেখার জন্য।
মানববন্ধন বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মহানগর নেতা কাজী আবুল বাশার, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হাবিবুল ইসলাম হাবীব, এমএ আউয়াল খান, শামীমুর রহমান শামীম, শিরিন আক্তার, শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের শহিদুল্লাহ কায়সার, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএমগোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএইচ/এনটি