রিজভী বলেন, শুধু রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে প্রতিবাদ করলেই সব শেষ হয়ে যায় না। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। তারা একবার না, বারবার একই ঘটনা ঘটিয়ে চলছে। গত বছরের অক্টোবর মাসেও মিয়ানমারের শ্রম, অভিবাসন, জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়সহ সে দেশের অন্তত: তিনটি ওয়েবসাইটের মানচিত্রে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের দেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। তখনও এ গণবিচ্ছিন্ন সরকার কেবল নামকাওয়াস্তে প্রতিবাদ করে চুপ হয়ে যায়।
সীমান্ত জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় কি চলছে প্রশ্ন করে রিজভী বলেন, সেখানে বিজিবির গুলিতে নিহতদের পরিবারে যখন শোকের মাতম চলছে তখন নিহত ব্যক্তিদের নামে আবার মামলা দেওয়া হয়েছে। হরিপুর উপজেলা বহরমপুর ও রুহিয়া গ্রামের ২৭২ জনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করেছে বিজিবি। একটি মামলার এজাহারে বিজিবির গুলিতে নিহত শিক্ষক নবাব আলী ও কৃষক সাদেক আলীর নামও রয়েছে। ভয়ে আতংকে এখন পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকা। গ্রামবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে অস্থিরতা।
তিনি বলেন, বিজিবির কাজ সীমান্ত পাহারা দেওয়া। কিন্তু তারা সীমান্ত পাহারা না দিয়ে বিএসএফ-এর মতোই বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। প্রায়দিনই বিএসএফ বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। অথচ বিজিবি এ বিষয়ে নির্বিকার। বাংলাদেশিদের হত্যা করতে তারা কুণ্ঠাবোধ করছে না। মিড নাইট সরকারকে সহায়তা করার জন্যই পুলিশ-র্যাবের মতো বিজিবি-ও সেই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিল।
রিজভী বলেন, সামান্য দু’টি গরুর জন্য আমাদের সীমান্ত প্রহরায় নিয়োজিত বিজিবি গুলি করে চারজন নিরীহ গ্রামবাসীকে কি করে হত্যা করতে পারে ? আবার কি করে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা দিতে পারে ? তারা তো জনগণের পরিশ্রমলব্ধ অর্থে বেতন ভাতা নিয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। রক্ষকরাই এখন ভক্ষক হয়ে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, এবিএম মোশারফ হোসেন, আব্দুস সালাম আজাদ, মুনীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৯
এমএইচ/এসএইচ