ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

যত বাধা আসুক, গণশুনানি করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
যত বাধা আসুক, গণশুনানি করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

ঢাকা: গণশুনানির জন্য এখনো কোনো ভেন্যু না পেলেও আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি (রোববার) নির্ধারিত গণশুনানি করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কার্যালয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আ স ম আবদুর রব এ কথা বলেন। এর আগে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যতো বাধা বিপত্তি আসুক আমরা গণশুনানি করবোই। আমরা গণশুনানি করবো বলে সরকার আগে থেকে মাসব্যাপী সব হল বুকিং দিয়ে রেখেছে। আমাদের কোনো হল দেওয়া হচ্ছে না। সরকারের সববাধা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের আকাশের নিচে আমরা যেখানে জায়গা পাবো সেখানেই গণশুনানি করবো।

তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল গত নির্বাচন (একাদশ সংসদ) প্রত্যাখ্যান করেছে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানাবো। তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।  

রব বলেন, গণশুনানি সফল করতে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সমন্বয় কমিটি বৈঠকে বসবে। এছাড়া ১৯ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠক করবে।   

বৈঠকে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, প্রেডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, মহাসচিব শাহ আহমদ বাদল,  জনদলের সভাপতি গোলাম মাওলা চৌধুরী, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু,আজমেরী বেগম চন্দ্রা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গণশুনানির জন্য রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন, কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন, গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চ অথবা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনকে স্থান হিসেবে বিবেচনা করেছিলো ঐক্যফ্রন্ট।  

জানা গেছে, পছন্দসই ভেন্যু না পেলে গণফোরাম অফিসের সামনে অথবা বিএনপির অফিসে গণশুনানি হতে পারে।

ফ্রন্টের নেতারা জানিয়েছেন, শুনানিতে একটি আদালত থাকবে, বিচারমঞ্চ থাকবে। গণশুনানির মাধ্যমে ভোট ডাকাতির চিত্র বিশ্ববাসী ও দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার করে তুলে ধরা হবে। ক্ষমতাসীন জোট ছাড়া ভোটে অংশগ্রহণকারী ডানপন্থি-বামপন্থি সব দলকে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হবে। যারা ভোটের সময় আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন তাদের স্বজনদের, যারা অপদস্ত হয়েছেন, কারাবন্দি হয়েছিলেন তাদেরকেও শুনানিতে আসতে বলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।