সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের সবক্ষেত্রে হিটলারের ছায়া আমরা লক্ষ্য করছি।
‘আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচন। এই ডাকসু ভাষা আন্দোলনের প্রতীক, ৬৯ এবং ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক, ছাত্র, সরকার এবং ইসির বুদ্ধিতে যে নির্বাচন করেছে এটি কোনোভাবেই জাতি মেনে নিতে পারে না। এটাও কোনো নির্বাচন হয়নি’।
গণতন্ত্রের ও স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে একদিন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, এখন তার লেশমাত্র নেই মন্তব্য করে দুদু বলেন, সেই গৌরবময় ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য এখানে যারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আমরা আছি। ছাত্র সমাজ, দেশের যুবসমাজ, মেহনতি, শ্রমিক-কৃষক সবাই সঙ্গে আছেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, লড়াই একটা হবে, দিন তারিখ দিয়ে নয়। লড়াই হবে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার, লুটেরা যারা ব্যাংক ফাঁকা করেছে। যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াই খালেদা জিয়া, শহীদ জিয়া, সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা'র স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই।
অপসাশনকে রোধ করতে খালেদা জিয়াকে আগে মুক্ত করতে হবে জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করে আনার অর্থই হচ্ছে অপশাসনকে রোধ করা। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে সম্মানিত করা। এজন্য আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। এই ফ্যাসিবাদি সরকারের পতন ঘটাই।
সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস