বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের তৃতীয় তলায় স্বাধীনতা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবিলম্বে সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে’ প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, ফ্যাসিবাদি সরকার, তাই তারা যা বলে তা করে না।
তিনি বলেন, সরকার ছাত্রদের আন্দোলন থেকে বিরত থাকার জন্য যে কথা দিয়েছিল, তারা সেই কথা রাখেনি। সেজন্যই নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে ছেলেটি রাস্তায় নেমেছিল, তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা এই আন্দোলনের প্রতি পুর্নসমর্থন জানাচ্ছি এবং সরকারকে ছাত্রদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুচিকিৎসার জন্য হলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। তার মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলকে আরও শক্তিশালী, মজবুত করে লড়াইয়ে নামতে হবে। এই লড়াই শুধু খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য নয়। এই লড়াই হবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার লড়াই।
‘মানুষের ভোটের অনীহার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দায়ী’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, ইতিহাস দেখেন, স্বাধীনতার পর যে নির্বাচন হলো সেখানে মাত্র ৬ বিরোধী দলকে রেখে সব তারা লুট করে নিয়েছিল। সেই লুট হয়েছিল দিনে আর এবার ২০১৮ সালে লুট হয়েছে ভোটের আগের দিন রাতে। অতীতে সেই ছয়জনকেও তারা সহ্য করতে পারেনি। একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছে। চারটি রেখে সব সংবাদপত্র বাতিল করে দিয়েছিল। জনগণের ভোটের সেই অধিকারকে হত্যা করেছে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে। আর জিয়াউর রহমান সেই একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বিএনপির কাছে বিরাট একটা সুযোগ চলে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে আমাদের হতাশ মনে করছেন, তবে আমরা হতাশ নই, আমরা হতবাক। আমাদের এই হতবাক কাটিয়ে ওঠার জন্য দলকে পুনর্গঠনসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দলকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদেরকে প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস