বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বনানীতে বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল বনানীর বাসা থেকে বেরুনোর পরপরই মহাখালীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনে থেকে ইলিয়াস আলী নিজের গাড়ি চালকসহ গুম হন।
এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা মানি, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, গুমের ব্যাপারটা আমাদের কাছে খুব একটা পরিচিত ব্যাপার ছিলো না। এনফোর্স ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স- এটা আমরা বইয়ে পড়তাম, ল্যাটিন আমেরিকায় এসব ঘটনা ঘটতো। বাংলাদেশে এটা শুরু হলো এই সরকার আসার পর থেকেই, সেটা ২০১১-১২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর আমরা জানি যে, আমাদের অনেক নেতা-কর্মী, বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, ট্রেড ইউনিয়নের নেতা গুম হয়ে গেছেন, এদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি গুম আছেন যেমন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আজমী, একজন ব্যারিস্টারসহ অনেকেই। ২০১৩ সালের দিকে যখন আন্দোলন চরম পর্যায়ে সেই সময়ে একসাথে অনেক ছাত্র নেতা গুম হয়েছেন। এর মধ্যে শাহিনবাগের মামুন, সুমন, মুন্নাসহ অনেকে। তাদের পরিবার আশা করে হয়ত তারা ফিরে আসবে কিন্তু এখনো ফিরে আসেনি। এরকম একটা নজিরবিহীন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এ সরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের মধ্যে এই বোধ সৃষ্টি হয়ে গেছে যে, আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্যাতন-নিপীড়ন করেই তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। আমরা এখনো আশা করি, ইলিয়াস আলী আমাদের মাঝে, তার পরিবারের মাঝে ফিরে আসবে। তার ছোট্ট মেয়ে বাবা বলে ডাকতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি অন্যান্য যারা নিখোঁজ ও গুম হয়ে গেছে তারা ফিরে আসবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ