তিনি বলেন, এই শপথ দলের সিদ্ধান্তের বাইরেই। আমি দীর্ঘদিন তো অপেক্ষা করলাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ প্রতিক্রিয়া জানান জাহিদুর রহমান।
শপথের বিষয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে জাহিদুর রহমান বলেন, না। আগে বলেছি, দেখাও করেছি। কোনো প্রকার সম্মতি দেয়নি। দল শপথ নেবে না, এখনো পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তই ফাইনাল। জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। তাদের প্রত্যাশা—আমি যেন শপথ গ্রহণ করে এলাকা ও দেশের সম্পর্কে ভূমিকা পালন করতে পারি।
দল থেকে তো আপনাকে বহিষ্কার করা হতে পারে— এ মন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিষয়ে দল যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতেই পারে, সেটা জেনেই শপথ নিয়েছি। দল যদি মনে করে বহিষ্কার করবে, করতেই পরে। বহিষ্কার করলেও কিন্তু আমি দলে আছি। আমি এই দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ। সেই ছাত্র জীবন থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর এই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কাজেই বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি তো বিএনপি থেকে বহিষ্কার হবো না। আমি আছি। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মাঠে লড়াই করেছি। আমি এবার দিয়ে চতুর্থবার নির্বাচন করলাম। এই আসনটি আমাদের বিএনপির ছিলো না। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের। এই প্রথম বিএনপি বিজয়ী হতে সক্ষম হয়েছে।
সংসদে আপনার ভূমিকা কী হবে? এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদুর রহমান বলেন, আমার নেত্রীর মুক্তির জন্য সংসদে যে ভূমিকা রাখা দরকার, তাকে যেন গণতন্ত্রের স্বার্থে মুক্ত করে দেওয়া হয়, সংসদে এই আহ্বান জানাবো। এটাই আমার সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম অঙ্গীকার। আর এলাকার হাজার হাজার নিরপরাধ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান করবো। গণতন্ত্রের স্বার্থে সেইসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি রাখবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এসকে/এমজেএফ