সোমবার (০৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের স্বাধীনতা হলে নাগরিক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বসে বললেন, তারেককে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করবা। তা না হলে ওর মাকে আর জীবনেও মুক্তি দেওয়া হবে না। তার মানে আইন-আদালতের কারণে নয়, শেখ হাসিনার ইচ্ছায় খালেদা জিয়াকে সারাজীবন কারাগারে থাকতে হবে। এখন আমি যদি বলি আদালতের হাত-পা বাঁধা। আদালত সরকারের কথার বাইরে যেতে পারেন না। আমি এসব বলছি, এখন আমাকে ডাক দেবেন, বলবেন আপনি আদালতের অবমাননা করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ নির্বাচনে কী করেছে, সেটা বলা যাবে না। বললে আবার আরেকটা অপরাধ হবে। সব কথা বলা দরকার, অথচ কোনো কথাই বলা যাবে না। এমন অবস্থার মধ্যে আমরা এই দেশে বসবাস করছি।
জননেত্রী পরিষদের সভাপতি (এবি সিদ্দিকী), তিনি প্রায়ই মামলা করেন উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, উনি মনে হয় অনেক শক্তিশালী লোক। তার করা দু’টি মামলায় এখনও নিম্ন আদালত থেকে খালেদা জিয়ার জামিন হয়নি। তিনি রোববার (০৫ মে) আবারও তারেক রহমান, মহাসচিবসহ আমাদের বিরুদ্ধে একটা ছিনতাই মামলা করেছেন। তার না-কি দুই হাজার ২০০ টাকা ছিনতাই হয়েছে। যারা ছিনতাই করেছে, তাদের তিনি চেনেন না। যারা নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের চেনেন। যারা করেছে তাদেরই যদি না চেনেন, তাহলে যারা নির্দেশ দিয়েছেন তাদের কীভাবে চিনলেন। অর্থাৎ ওনাকে নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যাও বাবা একটা মামলা করো। উনি মামলা করে দিয়েছেন।
দলীয় নেতাদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, আসুন আমরা একে অপরকে দোষারোপ না করি। একজন আরেকজনকে দোষারোপ করলে প্রতিপক্ষ সুযোগ পায়। আস্থার অভাব ঘটে। মাও সেতুংয়ের ভাষায় আমাদের সংগ্রাম ঐক্যের জন্য। আর ঐক্য হলো সংগ্রাম করার জন্য। এই সংগ্রামের ঐক্যকে সুদৃঢ় করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, ফরিদ উদ্দিন, শাহরিয়ার ইসলাম শায়লা, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
এমএইচ/টিএ