তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নির্দেশনা পেয়ে ইতোমধ্যেই খালেদা জিয়া এবং আমার নামে মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছে। বাকিরা নিয়েছেন কি-না, সেটা জানি না।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈঠকে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের মনোনয়ন ফরম কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও খালেদা জিয়ার নামে বগুড়া-৬ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাতিল হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। কিন্তু গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত শপথ না নেওয়ায় আসনটি শূন্য হয়ে যায়।
দলীয় সূত্র জানায়, বগুড়া-৬ উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জেলা নেতাদের ঢাকায় ডাকা হয়। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র নেতা ছাড়াও বগুড়া জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক চলাকালে স্কাইপে লন্ডন থেকে তাতে যোগ দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে তিনি জেলা নেতাদের মতামত জানতে চান।
বৈঠকে উপস্থিত প্রায় সবাই নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। উপনির্বাচনে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে প্রথম মনোনয়ন তোলা হবে বলেও তারা জানান। পরে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া ও জিএম সিরাজ ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একেএম মাহবুবুর রহমান, জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, রেজাউল করিম বাদশা এ আসনের মনোনয়ন ফরম তুলবেন। কারাদণ্ডের কারণে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হলে জিএম সিরাজকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, এটাও অনেকটা ঠিক করে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিএম সিরাজ বলেন, দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এমএইচ/টিএ