সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্কাইপের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় চার ঘণ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানেই তারেক ‘বিক্ষুব্ধদের’ ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলেন।
জানতে চাইলে বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি মামুন বিল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তারেক রহমানকে বলেছি আপনি আমাদের অভিভাবক। আপনি আমাদের পিতা-মাতা-বড় ভাই। আমরা অন্যায় করেছি। আপনি আমাদের ক্ষমা করে দিন। তিনি আমাদের বক্তব্য শুনে বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইদের ক্ষমা করে দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে অচলাবস্থা চলছিল। তবে সোমবারের বৈঠকের পর সেই অচলাবস্থার নিরসন হতে যাচ্ছে বলে আভাস ছাত্রদলের সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, তারেক রহমান দীর্ঘ সময় ‘বিক্ষুব্ধদের’ বক্তব্য শুনেছেন। তিনি ‘বিক্ষুব্ধ’ ছাত্রনেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটা তারা মেনে নেবেন কি-না। ছাত্রনেতারা তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, তিনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন তারা সেটা মেনে নেবেন।
তখন তারেক রহমান ছাত্রনেতাদের বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করো। আমি তোমাদের জন্য যা করার সব করবো। তোমাদের রাজনীতি আমি দেখবো। ’
ছাত্রনেতারা তিন মাসের জন্য একটা আহ্বায়ক কমিটি চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের কাছে। জবাবে তারেক রহমান তাদের বলেছেন, ‘এ বিষয়ে শিগগির তোমাদের জানাবো। ’
বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে তারেকের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রদলের বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের মধ্যে সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, মামুন বিল্লাহ, মাসুদ খান পারভেজ, জহিরউদ্দিন তুহিন, জয়দেব জয়, বায়েজিদ আরেফিন, দবিরউদ্দিন তুষার, আজিজ পাটোয়ারী, যুগ্ম-সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বায়েজিদ আরেফিন, মিজানুর রহমান সোহাগ, ফজুল্লাহ ফয়েজ, সহ-সাংগঠনিক মাহবুব আলম ফরাজিসহ প্রায় ৬০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ জন তারেক রহমানের সামনে বক্তব্য দিয়েছেন। পরে তাদের উদ্দেশে প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলেন তারেক রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/