শনিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। গাজীপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আবদুল করিমসহ তার অনুসারীদের বিএনপিতে যোগদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশের সব মানুষ বিশ্বাস করে খালেদা জিয়াই একমাত্র গণতান্ত্রিক নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে পারেন। আমরা সবার আগে দেশনেত্রীর মুক্তি চাই। তিনি এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক। দ্বিতীয়ত হলো এই দখলদারি সরকার, যারা নির্বাচন না করে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে। তাদেরকে পদত্যাগ করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন দিতে হবে। একই সঙ্গে যে নির্বাচন কমিশন আছে তাদেরকে বাতিল করে দিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এটা ছাড়া দেশে কোনোদিন রাজনৈতিক ও অর্থনেতিক মুক্তি আসবে না।
সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিরাজনীতিকিকরণ করছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেন রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য একে একে সংবিধানে পরিবর্তন করেছে। রাজনীতির মাঠকে সম্পূর্ণভাবে শূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত তারা শুরু করেছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো এই দেশে একটাই দল থাকবে। আর কোনো দল থাকবে না।
কোরবানির চামড়া বিক্রি করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা চলতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে সেটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তাদের দলীয় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট ও সরকারের নীতিমালা না থাকার কারণে চামড়া ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফখরুল বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী যখন কারাগারে, হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে মামলা, সেই সময়ে আব্দুল করিমের যোগদান নিঃসন্দেহে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তাকে আমরা দলে বরণ করে নিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম শুক্কুর, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল হক মোল্লা প্রমুখ। এসময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী ও সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস