শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মতের কথা জানান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গার বিষয়ে সরকার সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের কাছে নতি স্বীকার করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি- এই সরকার সম্পূর্ণভাবে রোহিঙ্গা বিষয়টিকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যার কীভাবে সমাধান আসতে পারে প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগে বলেছিলাম যে, এই সমস্যার সমাধানে প্রথম হচ্ছে অলপার্টি ডায়ালগ করা। একটা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসতো আমাদের কী করতে হবে।
তিনি বলেন, দরকার ছিল সরকার প্রধানের সেই সমস্ত রাষ্ট্র সফর করা, হেড অব দ্যা স্টেটের সঙ্গে দেখা করা, যারা মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেটা সরকার করেনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো সফর বাংলাদেশের সরকার প্রধান বা বাংলাদেশের সরকারের কোনো প্রতিনিধিদল করেননি। মিয়ানমার যে ফর্মুলাগুলো দিচ্ছে, সেগুলো তারা নিচ্ছে। এখানে বোঝা যায় তারা বাংলাদেশের ইন্টারেস্টা সেভাবে দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
২১ আগস্টের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ অভিহিত করে এ রকম ‘মিথ্যাচার’ বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন যে শোভাযাত্র হওয়ার কথা ছিল, তা পরিবর্তন করে ২ সেপ্টেম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলোচনা সভা হবে।
বৈঠকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
দুই ঘণ্টার এই বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমএইচ/টিএ