রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পূর্ব পাশের পাকা সড়কে শুরু হয় ওই সমাবেশ। দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা সমাবেশের মঞ্চে উঠেছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সহস্রাধিক নেতাকর্মী ওই সমাবেশে জড়ো হতে থাকেন।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রেসিডিয়াম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত আছেন। এ সমাবেশ থেকে বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি, সুচিকিৎসা, আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বার্তা দিতে পারে। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ভবিষ্যতে কী ধরনের কর্মসূচি দেবে। সে ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
সমাবেশস্থলে এখনও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আসছেন। সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের আনাগোনা শুরু হয়। তবে, নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করেন দুপুর ২টার পর থেকে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে ঢুকছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলের আশপাশে লাগানো হয়েছে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি চেয়ে পোস্টার।
এদিকে বিএনপির এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগরীতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই মহানগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা দেখা গেছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ২২টি শর্তে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের পূর্বপাশের পাকা সড়কে বিএনপিকে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। আরএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে জানান, মাদ্রাসা মাঠের পূর্বপাশের রাস্তায় বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে সমাবেশ শুরু ও শেষ করা, সমাবেশে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য না রাখা, হেলমেট, লাঠিসোটা নিয়ে সমাবেশে না আসা, পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করাসহ ২২টি শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এসএস/এএটি
আরও পড়ুন...