মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ২৭তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে লেন্ডল সিমন্সের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।
জবাব দিতে নেমে দলীয় ৩০ রানে ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিলের উইকেট হারায় কুমিল্লা। আর ৩১ রান যোগ হতে ফেরেন আরেক ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি (১৭)। এরপর সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৬ রান। অপর প্রান্তে এমন উইকেট পতনের মিছিলে একাই লড়াই চালিয়ে যান কুমিল্লার অধিনায়ক ডেভিড মালান।
একাই লড়তে থাকা মালানকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন সাব্বির রহমান (১৮), ডেভিড উইসি (১), মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (০)। চট্টগ্রামের বোলার রুবেল হোসেন ১৮তম ওভারে মাত্র ১ রান খরচে ২ উইকেট তুলে নিয়ে যে ধাক্কাটা দেন তাতেই ভয়ানক চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা।
কিন্তু দলের রানের চাকা থামতে দেননি মালান। ১৩৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও তাই অধিনায়কে আশা খুঁজে পায় কুমিল্লা। লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের করা ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মালান। স্ট্রাইকিং প্রান্তে তখন আবু হায়দার রনি। কুমিল্লার আশা তখন দুরাশার পথে।
কিন্তু দলের বিপদের মাঝে টানা দুই বলে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যবধান অনেকটাই ঘুচিয়ে ফেলেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান রনি। চতুর্থ বলে লেগ বাই থেকে আসে ১ রান। শেষ ২ বলে দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। কিন্তু এমন টানটান উত্তেজনার মধ্যেই রান আউটের শিকার হন কুমিল্লার বড় ভরসা মালান (৭৪)। কিন্তু ক্রিজে নেমেই ওভারের শেষ বলে দারুণ এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন আফগান তারকা মুজিব।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান কুমিল্লা অধিনায়ক ডেভিড মালান।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ১১.৩ ওভারে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু পর পর দুই রানের মধ্যে দুই ওপেনার বিদায় নিলে চট্টগ্রামের ইনিংসে ফাটল ধরে। হাফ-সেঞ্চুরি করা ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান সিমন্স ৩৪ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৪ করে সৌম্য সরকারের বলে বিদায় নেন। আর ৩৭ বলে ৬টি চারে ৪৫ করার পর রান আউট হন জুনায়েদ।
এই জুটিকে বিদায় করার পর ম্যাচে দারুণভাবে ফেরে কুমিল্ল। সৌম্য, মুজিব উর রহমানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দলীয় সংগ্রহ খুব বড় করতে পারেনি চট্টগ্রাম। শেষদিকে জিয়াউর রহমানের ২১ বলে ঝড়ো অপরাজিত ৩৪ রানের সুবাদে দেড়শ পার করে দলটি। জিয়ার ইনিংসে ৪টি বিশাল ছক্কা ছিল।
দারুণ বোলিং করা সৌম্য ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মুজিব কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দেন। এছাড়া আল-আমিন হোসেন, ডেভিড উইসি ও সানজামুল ইসলাম একটি করে উইকেট পান।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কুমিল্লার ডেভিড মালান।
এই জয়ের পর ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে কুমিল্লা। আর হেরেও শীর্ষে থাকা চট্টগ্রামের সংগ্রহ ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমএইচএম