ঢাকা: অমর একুশে বইমেলার সপ্তম দিনে নতুন বই এসেছে ১০৪টি। এর মধ্যে কবিতার বই ৩১টি, উপন্যাসের বই ১৬টি, গল্পের বই ১৩টি, প্রবন্ধ ২টি, গবেষণা ২টি, শিশুসাহিত্য ২টি, জীবনী ৫টি, ভ্রমণ ১টি, ইতিহাস ১টি, রাজনীতি ১টি, স্বাস্থ্য ১টি, অনুবাদ ২টি, মুক্তিযুদ্ধ ৩টি, বিজ্ঞান ৩টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি ও অন্যান্য ১৩টি।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এ দিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে ‘স্মরণ মাহবুব তালুকদার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজী রহমান। ‘স্মরণ আলী ইমাম’ শীর্ষক আহমাদ মাযহার লিখিত প্রবন্ধ তাঁর অনুপস্থিতিতে পাঠ করেন মোকারম হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন ড. নিমাই সফল, আমীরুল ইসলাম এবং ওমর কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদুর রেজা সাগর।
প্রাবন্ধিকরা বলেন, জীবনের বিভিন্ন বিকাশে এবং ব্যক্তিত্বের বহুতর প্রকাশে মাহবুব তালুকদারের অবস্থান তাঁর অবিচল দৃঢ়তা এবং আত্মবোধের প্রতি পূর্ণ আস্থাই প্রমাণ করে। তিনি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান রূপকার ও ছোটোগল্পের পারঙ্গম লেখক। অপরদিকে, পাঠ্যপুস্তকের নানা অনুশাসনের বাইরে শিশু-কিশোরদের অনাবিল আনন্দদান ও তাদের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন আলী ইমাম। তাঁর শিশুসাহিত্যপ্রীতি কেবল লেখালেখিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বিস্তৃত ছিল বেতার-টিভির ছোটদের অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা থেকে শুরু করে শিশুসংগঠনের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ পর্যন্ত।
আলোচকরা বলেন, গভীর অনুভূতিসম্পন্ন সাহিত্যিক মাহবুব তালুকদারের লেখায় মানুষের জীবন, অন্তরের জগতের কথা উঠে এসেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তিনি যেমন সমাজসচেতন ছড়া লিখেছেন, তেমনি আবার গভীর ভালোবাসার কবিতাও লিখেছেন। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেও বাংলাসাহিত্যে তিনি তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। বিরল সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম ছিলেন বহুমাত্রিক, চঞ্চল ও প্রাণবন্ত একজন মানুষ। বিজ্ঞানের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তাঁর আগ্রহ নির্দিষ্ট হয়নি। বাংলা শিশুসাহিত্যের অনন্য প্রাণবান লেখক আলী ইমাম যে-সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা শিশুদের বিশ্ব নাগরিক হয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আলী ইমাম ও মাহবুব তালুকদার বাংলাসাহিত্যের উজ্জ্বল দুটি নাম। তাঁরা তাঁদের চিন্তা, চেতনা ও সাহিত্যকর্ম দিয়ে আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন আবুল কাসেম, সাকিরা পারভীন, জালাল ফিরোজ এবং পলাশ মাহবুব।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জাহিদুল হক, গোলাম কিবরিয়া পিনু এবং ইউসুফ রেজা আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজী মাহতাব সুমন, নায়লা ভারহুম চৌধুরী এবং সংগীতা চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী তপন মজুমদার, মনোতোষ চক্রবর্তী, শামসেল হক চিশতি, এ এইচ এম সালাউদ্দিন, অণিমা মুক্তি গোমেজ, মো. মোখলেসুর রহমান এবং মো. মুরাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৩
এসকেবি/এমজেএফ