বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: কোথাও চলছে ঠকঠক আর হাতুড়ি-পেরেকের শব্দ। কোথাও চলছে বই গোছানো, বৈদ্যুতিক সংযোগ, রঙের কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে অধিকাংশ স্টল পর্দা দিয়ে ঢাকা। খান ব্রাদার্স, তাম্রলিপি, বায়ান্ন প্রকাশনী, চৈতন্য প্রকাশনী, অন্যধারা, নালন্দা, কথা প্রকাশ, জ্ঞানকোষ প্রকাশনী, মাওলা ব্রাদার্স, শব্দশৈলী, রাবেয়া বুকস, মিজান পাবলিকেশনস, বাতিঘর প্রকাশনী, চারুলিপীর মতো প্রকাশনীগুলো এখনো স্টল চালু করেনি।
এখনো কাজ শেষ হয়নি এমন স্টলের মধ্যে ‘জিনিয়াস পাবলিকেশন্স’ও আছে। সেখানে নির্মাণকর্মীদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। এর মধ্যে এক নির্মাণকর্মীর সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি জানান, কাজ আজকের মধ্যে শেষ করতে হবে। আগামীকাল স্টল চালু করা হবে বলে আশা করা যায়।
তবে অর্ধেকের বেশি স্টল বন্ধ থাকলেও মেলায় প্রথম দিনই দর্শনার্থী ও পাঠকের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি দেখা গেছে। যাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। এরমধ্যে স্কুল ও কলেজের নির্ধারিত পোশাকে কয়েকটি দলকে মেলায় বিভিন্ন স্টলের সামনে দেখা যায়৷
মেলার প্রথমদিন বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই চালু হয়েছে কয়েকটি স্টল। এর মধ্যে কবি প্রকাশনী, চয়ন, সংহতি প্রকাশনী, আহমদ পাবলিশিং হাউস, অনুপম প্রকাশনী, কাকলী প্রকাশনীর স্টলের সামনে কিছু পাঠকের ভিড় দেখা যায়। গত বছর স্টল বরাদ্দ না পাওয়া আদর্শও এবার আড়ম্বরভাবেই মেলার প্রথমদিন থেকে স্টল চালু করেছে। সেখানেও পাঠকের উপস্থিতি রয়েছে।
মেলায় ঘুরতে এসেছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদনান সামি। সে বাংলানিউজকে বলে, মেলায় আসতে সবসময়ই একটি উচ্ছ্বাস কাজ করে। তবে অনেক দোকানই বন্ধ। সেগুলো চালু থাকলে আরও ভালো লাগতো।
আদনান সামি বলে, ছোটবেলায় আব্বু-আম্মুর সঙ্গে মেলায় আসতাম। এখন নিজেই আসি। বন্ধুবান্ধব থাকে। ভালো লাগে।
এদিকে মেলায় পাঠকের উপস্থিতি থাকলেও এখনো পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় সেভাবে বিক্রি জমেনি। অধিকাংশ পাঠকই বইয়ের মলাট উল্টে দেখছেন।
একটি স্টলের বিক্রয়কর্মী খালেদ নূর তাইমন বাংলানিউজকে বলেন, মাত্র তো শুরু হলো। ধীরে ধীরে মানুষ আসবে, বই কিনবে। এটা যেহেতু মেলা, তাই অনেকেই দেখতে আসবে। সামনে বিক্রি বাড়বে।
মেলায় আগত পাঠক সানজিদা ইসলাম বলেন, মেলায় আসতে একটা রোমাঞ্চ কাজ করে। প্রথমদিনই চলে এলাম। আমি চার বছর থেকে আসছি। প্রথম দিন হিসেবে ভালোই মানুষ এসেছে।
এ বছর বইমেলায় ৬৩৫টি প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মেলায় এ বছর নতুন করে ২৩টি প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেছেন। এরপর জনসাধারণের জন্য মেলার দুয়ার খুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
এইচএ/