ঢাকা: শেষের দিকে অমর একুশে বইমেলা। এ সময়ে ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা ঘুরতে আর ছবি তুলতেই বেশি আসছেন।
বইমেলা ঘুরে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের অনেকে একেক স্টলে যাচ্ছেন, বই হাতে নিচ্ছেন, ছবি তুলছেন, তারপর অন্য স্টলে চলে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়েও একই দৃশ্যে ধরা দিচ্ছেন।
মেলায় পরিবার নিয়ে অনেকেই এসেছেন ঘুরতে। অনেকে এসেছেন বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে দল বেঁধে ঘুরতে। তাদের দলবদ্ধভাবে সেলফি আর ছবি তুলেই ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। আর বইমেলা থেকে বের হওয়া দর্শনার্থীদের অনেকের হাত শূন্যই থাকতে দেখা গেছে।
রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকা থেকে বইমেলায় এসেছেন জান্নাতুল প্রমি। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৫২ সালে এই দিনে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন সালাম, রফিক, জব্বাররা। বইমেলায় বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আর ছবি তুলতে এসেছি। এখনও কোনো বই কিনিনি মেলা থেকে।
পুরান ঢাকার মালিটোলা এলাকা থেকে বইমেলায় পরিবার নিয়ে এসেছেন হাজী সিরাজ। তিনি বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছি মেলায় ঘুরতে। সাধারণত শহুরে জীবনে যাওয়ার তেমন জায়গা নেই। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটু ঘোরাফেরার চেষ্টা।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ের জন্য মেলা থেকে সায়েন্স ফিকশন বই কিনেছি। এখনও ঘুরছি, দেখছি পছন্দ হলে আরও কিনব।
বইমেলায় এক প্রকাশনীর সেলসম্যান রকি বলেন, গতবারের তুলনায় এবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে মেলায় ভিড় কম। আশা করি সন্ধ্যার দিকে আরও ভিড় বাড়বে। মানুষ বইও কম কিনছে এবার।
বইমেলায় আসা লেখক মো. বশির আহমেদ বলেন, যুবসমাজ ও তরুণ সমাজ এখন স্মার্টফোন আর সামাজিক যোগাযোগ নিয়ে ব্যস্ত। আগের মতো বই পড়েও না কেনও না কেউ। আমরা সবাই মিলে যদি, বই পড়ার পরিবেশ তৈরি করতে পারি, তাহলে তরুণ সমাজ উদ্বুদ্ধ হবে বই পড়ায় ও বই কেনায়।
ভাষা শহীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ভাষাশহীদরা নিঃস্বার্থে ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের জন্য আমরা মাতৃভাষায় মন খুলে কথা বলতে পারি ও লিখতে পারি। তাদের জন্যই আমরা বাংলা ভাষাভাষীর একটি দেশ পেয়েছি। আমরা বাঙালি জাতি তাদের কাছে ঋণী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এমএমআই/আরএইচ