ঢাকা: অমর একুশে বইমেলায় আজ শেষ ছুটির দিন। সাপ্তাহিক এ ছুটির দিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যেন জনস্রোত তৈরি হয়েছিল।
বরাবরের মতো শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শিশুপ্রহর উপলক্ষে বেলা ১১টায় খুলে যায় মেলার দ্বার। শিশু চত্বরে বাবা-মায়ের হাত ধরে ভিড় করেছিল শিশুরা। তাদের উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে দেয় সিসিমপুরের জনপ্রিয় পাপেট চরিত্র টুকটুকি, হালুম, ইকরি ও শিকুরা। এছাড়া স্টলে স্টলে ঘুরে নানা ধরনের বই কিনে শিশুপ্রহরের দুই ঘণ্টা দারুণ মজায় পার করে শিশুরা। শিশুপ্রহর চলাকালেই দুপুর থেকে মেলায় ভিড় বাড়তে থাকে বড়দের। বিকেলের মধ্যে গোটা মেলা যেন পরিণত হয় জনস্রোতে। এর মধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই ছিল বেশি।
কথা হয় ময়মনসিংহ থেকে আসা উবায়দুল হক নামে এক পাঠকের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবার মেলা উপলক্ষে ঢাকায় আসেন। পছন্দের তালিকা ধরে আজ অনেক বই কিনেছেন।
দুপুরে এসেছিলেন আশিকুজ্জামান। গল্প, উপন্যাস আর থ্রিলারের লম্বা ফর্দ তৈরি করেছেন তিনি।
আশিকুজ্জামান বলেন, আগে আরও তিন দিন মেলায় এসে বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে বইয়ের তালিকা সংগ্রহ করেছি। ছুটির দিনে দুপুরেই মেলায় এসেছি ফর্দ ধরে বই কিনতে। কিন্তু স্টল আর প্যাভিলিয়নে প্রচুর ভিড়। তবু তালিকা ধরে কয়েকটি বই কিনেছি।
রাজশাহী থেকে এসেছিল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বস্তিকা। বাবা শ্যামল চন্দ্র বর্মণকে নিয়ে রাজশাহী থেকে বইমেলায় এসেছিল সে। দুজনের হাতেই ব্যাগ ভর্তি বই। স্বস্তিকা জানাল, বেলা ১১টায় মেলায় ঢুকে বিকেল পর্যন্ত ২৭টি বই কিনেছে। ওর বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বর্মণ জানালেন, হোটেলে ফিরে দেখবেন কেনা দরকার এমন কোনো বই বাদ পড়েছে কিনা।
এদিকে বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিক্রেতারা। ইউপিএলের জ্যেষ্ঠ বিক্রয় নির্বাহী মোসাদ্দেক হোসেন জানান, এদিন অনেকেই তালিকা ধরে বই কিনেছেন। তবে কথাপ্রকাশের বিক্রয় ও বিপণন নির্বাহী ইউনুস আলী বলেন, অনেক ক্রেতা তালিকা নিয়ে এলেও এবার খুব বড় তালিকা দেখেননি তিনি।
অনন্যা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মনিরুল হক বলেন, কাগজের দাম বেশি হওয়ায় বই বিক্রি নিয়ে মেলার আগে সন্দিহান ছিলাম। নতুন বইও প্রকাশ করেছি অনেক কম। কিন্তু পাঠকের বই কেনা একদম খারাপ না। মেলার শেষের দিকে পাঠকরা এসে শুধু ঘুরে বেড়ান না, লিস্ট ধরে বই কেনেন। আসছে দিনগুলোয় বিক্রি আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪
এইচএমএস/আরবি