ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

বইমেলা

এবার বইমেলায় একটু ঝুঁকি নিয়ে স্টল বাড়ানো হয়েছে: মহাপরিচালক 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
এবার বইমেলায় একটু ঝুঁকি নিয়ে স্টল বাড়ানো হয়েছে: মহাপরিচালক 

ঢাকা: এ বছর বইমেলায় একটু ঝুঁকি নিয়ে স্টল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন  বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।  

তিনি জানান, এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি; মোট ইউনিট ১০৮৪টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি)।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির সচিব ড. সেলিম রেজাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অমর একুশে বইমেলা পরিচালনা কমিটি সদস্য সচিব ড. সরকার আমিন।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি; (গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি)। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি (গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি)।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। ৮ ও১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে।

এবার মেলায় নতুনত্ব কী থাকবে প্রশ্নে তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর মেলাতে পুলিশের একটা বাড়াবাড়ি ছিল। আসলে সেটা পুলিশি রাষ্ট্রের কারণে হয়েছে। এখন রাষ্ট্র সেরকম অবস্থায় নেই। আশা করছি এবার আপনারা পরিবর্তন দেখতে পাবেন। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেষ্ট আন্তরিক মনে হয়েছে। আশা করছি তারা তাদের যে সীমা প্রচারণার ক্ষেত্রে সেটা লঙ্ঘন করবেন না।  

বিগত বছরগুলোতে ইসলামিক বই স্টল দিতে দেওয়া হয়নি, এবছর কি তারা মেলায় স্টল নিতে পেরেছেন? - এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ইসলামিক শব্দটা আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমি বলতে চাই প্রকাশনা সংস্থা। এক্ষেত্রে আমরা তথ্য-উপাত্ত গবেষণা করে দেখব। আমরা ইসলামিক বা অইসলামিক বিষয় না দেখে আমরা মানসম্মত কিনা সে বিষয়টি দেখেছি। সেই ভিত্তিতেই আমরা স্টল বরাদ্দ দিয়েছি।  

গাড়ি পার্কিং বিষয়ে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পার্কিং বিষয়ে আমাদের সার্বিক সহযোগিতার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। যেটা আগের থেকে একটু ভালো হবে। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ ও মুহসিন হলের মাঠে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  

পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে বা ধুলোবালি নিয়ন্ত্রণে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধুলা নিবারণের জন্য পানি ছেটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে।  

প্রসঙ্গত, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। শনিবার বিকেল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৫। শনিবার বিকেল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯ টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন>>

 বইমেলায় শেখ মুজিবের বই রাখার প্রশ্নে যা জানাল বাংলা একাডেমি

বইমেলা পলিথিনমুক্ত করার ঘোষণা বাংলা একাডেমির

বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
জিসিজি/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।