ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

উদ্যানে লোক কম, প্রাঙ্গণে ভিড়

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৫
উদ্যানে লোক কম, প্রাঙ্গণে ভিড় ছবি: শোয়েব মিথুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলার ১৪তম দিন শনিবার প্রথম প্রহরে লোক সমাগম কম হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পাঠক ও দর্শনার্থী। দুপুর গড়াতেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রচুর লোকের সমাগম দেখা যাচ্ছে।

তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চিত্র ভিন্ন। অনেকটাই ফাঁকা মেলার ওই প্রাঙ্গণ।
 
এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া ৫৬৫টি স্টলের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই রয়েছে ৪৩৭টি স্টল। প্রকৃত অর্থে ছোটদের কয়েকটি প্রকাশনী, মিডিয়া ও কয়েকটি করপোরেট হাউস, এনজিও, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, বাংলা একাডেমির নিজস্ব স্টল ও প্যাভিলিয়ন ছাড়া দেশের বড় বড় সব প্রকাশনা সংস্থার স্টল ও প্যাভিলিয়নই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাখা হয়েছে।
 
তারপরও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ, নজরুল মঞ্চ, মেলার মূলমঞ্চ, নতুন একাডেমি ভবনের আঙিনা ও পুকুরপাড়ই মেলায় আসা পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।
 
শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায় সেখানে খুব একটা ভিড় নেই। লোক সমাগম মেলার বিস্তৃত পরিসরের তুলনায় খুবই কম। দু’য়েকটি স্টলের সামনে কিঞ্চিৎ ভিড় দেখা গেলেও বেশিরভাগ স্টলই ছিলো ফাঁকা।
 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের উত্তর-পশ্চিম কোণে ৮৭-৮৮-৮৯ ইউনিট নিয়ে গড়া গতিধারা প্রকাশনীর স্টলকর্মী আক্তার হোসেন বলেন, মেলা মাঠের মাঝ খানে বিশাল জায়গা ফাঁকা রেখে মেলার আরেকটি অংশ রেখে দেওয়া হয়েছে একাডেমি প্রাঙ্গণে। ফলে লোকজন অনেক এলেও মেলাটা ফাঁকা ফাঁকা মনে হয়। হয় পুরো মেলাটা একাডেমি প্রাঙ্গণে, না হয় সোরাওয়ার্দী উদ্যানে করলে ভালো হতো।
 
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বেরিয়ে দুপুর পৌনে ২টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢুকেই চোখে পড়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মানুষের জন্য হা-পিত্যেশ করলেও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ।
 
তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, কিশোর-কিশোরী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ একাডেমি প্রাঙ্গণে ভিড় জমিয়েছে। কেনার মতো কোনো বই বা বইয়ের প্রকাশনী মেলার এ অংশে না থাকলেও মোহাবিষ্টের মতো সবাই এখানেই ভিড় পাকাচ্ছেন। ঘুরছেন-ফিরছেন, ছবি তুলছেন, গল্প আড্ডায় সময় পার করছেন। ক্ষুধা লাগলে খেয়ে নিচ্ছেন বাংলা একাডেমির ক্যান্টিনে।

টিকাটুলি থেকে ছোটো ছেলে কৌশিককে নিয়ে মেলায় এসেছেন হুমায়ূন জাবির। তিনি বলেন, এটি তো বারোয়ারি মেলা না। বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা। সুতরাং মেলা বলতে এখনো বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণকে বুঝি। মেলা থেকে যে আনন্দটুকু উপভোগ করার সেটি একাডেমি প্রাঙ্গণে এলেই মেলে। আর বই কেনার প্রয়োজন হলে ছুটতে হবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
 
মিরপুর থেকে মেলায় আসা শুক্লা দাস বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ আর অমর একুশে গ্রন্থমেলা একসূত্রে গাঁথা। কোনোদিন যদি পুরো মেলাটা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়, সেদিন দেখবেন মেলার আবেদনটা কমে গেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪,২০১৫

** ভালোবাসার দিনে চলছে শিশু প্রহর
** অস্ট্রেলিয়ায় তুলোধুনো ইংল্যান্ড
** ৬ উইকেটে ৩শ’ পেরোলো অজিরা
** গ্যালারিতে ক্যাচ নিয়েই মিলছে ১০ লাখ ডলার!
** ফিঞ্চের পর সাজঘরে বেইলি
** দলকে মজবুত অবস্থানে রেখে সাজঘরে ফিঞ্চ
** শতক পেরোলো অজিরা
** সাজঘরে অজিদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান
** অজি শিবিরে ব্রডের জোড়া আঘাত
** ফিঞ্চ-ওয়ার্নারের ব্যাটে বিশ্বকাপ মিশন শুরু অজিদের
** টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠালো ইংলিশরা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।