ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

স্টল-প্যাভিলিয়ন ভাড়া ফেরত চান প্রকাশকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫
স্টল-প্যাভিলিয়ন ভাড়া ফেরত চান প্রকাশকরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

গ্রন্থমেলা থেকে: বাংলা একাডেমিকে একুশে বইমেলা-২০১৫’র স্টল ও প্যাভিলিয়ন ভাড়া ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।

হরতাল-অবরোধে প্রত্যাশিত বিক্রি না হওয়ায় তারা এ দাবি জানান।

একইসঙ্গে বাংলা একাডেমির অব্যবস্থাপনা তুলে ধরে বইমেলার দায়িত্ব বাংলা একাডেমিকে না দিয়ে প্রকাশকদের দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান প্রকাশকরা।

বৃহস্পতিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘প্রকাশকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময়বৃদ্ধি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি এ আহ্বান জানান।
 
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল-অবরোধ সহিংসতার কারণে গত ২৬দিনে বই বিক্রির সামগ্রিক চিত্র হতাশাজনক। প্রকাশকেরা বই প্রকাশের জন্য বিপুল অংকের অর্থ লগ্নি করলেও প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম বিক্রি হওয়ায় চরম আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এ আর্থিক ক্ষতির বোঝা বছরজুড়ে বহন করতে হবে।

আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এমন বাস্তবতায় বাংলা একাডেমির কাছে আমাদের দাবি এ বছরের স্টল ও প্যাভিলিয়ন ভাড়া ফেরত দেওয়া হোক।

মেলার সময়সীমা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, একইসঙ্গে ৭ মার্চ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাপনী অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। এরফলে বইমেলা ভিন্নমাত্রা পাবে।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শিশুদের স্টল বরাদ্দ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চত্বরে কয়েকটি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে যাদের কোনো প্রকাশনা নেই। বাংলা একাডেমিকে এ বিষয়ে বারবার বলা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংগঠনের পক্ষে আরও বলা হয়, স্পন্সরের মাধ্যমে মেলা হলেও নান্দনিকতার ছোঁয়া নেই কোথাও। এ ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
 
ওসমান গণি বলেন, বইমেলাকে আরও সুন্দর করতে মেলা পরিচালনার দায়িত্ব প্রকাশকদের দেওয়া হোক। প্রকাশকেরা বাংলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সহযোগিতায় মেলা আয়োজন করবে।

এক্ষেত্রে মেলা পরিচালনার জন্য সরকারের কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না বলেও তিনি জানান।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কলকাতার আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলার আয়োজক সেখানকার প্রকাশকরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এমিরিটাস প্রকাশক ও ইউপিএল-এর স্বত্ত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আহমেদ, অবসর প্রকাশনীর আলমগীর রহমান, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাহিত্য প্রকাশের মফিদুল হক, অনুপম প্রকাশনীর মিলন কান্তি নাথ, অন্যপ্রকাশের মাজহারুল ইসলাম, কাকলী প্রকাশনীর একেএম নাসির আহমেদ সেলিম, সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদ, পাঞ্জেরী প্রকাশনীর কামরুল হাসান শায়ক প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫

** আবর্জনা সরাতে মেলায় গম্ভিরা গান
** সময় বেড়েছে, পাল্টেনি চিত্র
** মেলায় প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের যত বই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।