ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

প্রধানমন্ত্রীর বইয়ে ব্যাপক পাঠক আগ্রহ

সৈয়দ ইফতেখার আলম, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
প্রধানমন্ত্রীর বইয়ে ব্যাপক পাঠক আগ্রহ ছবি: জি এম মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: এবারের বইমেলায় লেখক শেখ হাসিনায় পাঠকের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর বইয়ের দিকে বিশেষ একটা নজর থাকে মানুষের, এবার তা যে কোনো বারের চেয়ে একটু বেশি বলে জানালেন প্রকাশক-বিক্রেতারা।



আগামী প্রকাশনী থেকে ২০১৫ সালে বের হয় শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি। ২০১৬ সালে যার চতুর্থ সংস্করণ চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনপ্রিয় এই প্রকাশনা সংস্থাটির এ বছরের সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের তালিকায় রয়েছে বইটি।

বইয়ের পাতায় লেখা ২৫০ টাকা মূল্য। ২৫ শতাংশ কমিশনে আগামী প্রকাশনী বিক্রি করছে ১৮৮ টাকায়। এখানকার বিক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিতিয়া ওসমানের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তিনি বলেন, এবার আমাদের বেস্ট সেলার বই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বই। অন্য যে কোনো লেখকের চেয়ে তার বইয়ে পাঠকের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো।

মিতিয়া জানান, ছুটির দিনে শেখ হাসিনার বই বিক্রিতে ১০০ কপি ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া সাধারণ কর্মী দিবসে ৩০-৩৫ কপি হাত বদল হয়।

অন্যদিকে, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে যুবলীগের প্রকাশনা যুবজাগরণে (৭৬-৭৭ নম্বর স্টল) বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর লেখা এই বইটিতে (‘শেখ মুজিব আমার পিতা’) বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পাঠকরা মাত্র ১০০ টাকায় বইটি সংগ্রহ করতে পারছেন। এতে মেলা চলাকালীন সময়ে লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে হচ্ছে বই। যখন মেলা শুরু তখনই স্টলের সামনে লাইনও শুরু।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, পৃথিবীর কোনো জায়গায় লাইন ধরে মানুষ বই কিনে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনার বই কিনতে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এতো ভিড় যা চোখে না দেখলে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, যুবজাগরণে এবার বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর পরেই শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’র বিক্রি তুঙ্গে। অবশ্য গতবছর ২০১৫ সালে দুটি বইই সমান সমান বিক্রিতে ছিল। আমরা চাই সব পাঠকের হাতে এ বইগুলো থাকুক, সবাই পড়ুক- তাই যুবলীগের নিজস্ব ফান্ড থেকে ভর্তুকি দিয়ে মাত্র ১০০ টাকায় বই দেওয়া হচ্ছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি ছুটির দিনে ৬০০ থেকে ৬৫০ পিস এবং সাধারণ দিনে ২০০ পিসের মতো বিক্রি হচ্ছে। আমরা চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যাপ্ত যোগান দিতে পারলে সংখ্যাটি আরও বাড়তো,’ যোগ করেন শ্যামল কুমার রায়।

আরও জানতে কথা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে মানুষের আগ্রহ সীমাহীন, তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়- তার বই পড়ে আগ্রহ মিটানোর প্রচেষ্টা তো থাকবেই। এছাড়া লেখক হিসেবে শেখ হাসিনার আলাদা একটা অবস্থান রয়েছে, সেজন্যই হয়তো তার বইয়ে বিশেষ নজর পাঠকের।

‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতিকথামূলক একটি আত্মজীবনী। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক অজানা তথ্য ও ইতিহাস স্থান পেয়েছে।

এছাড়া শেখ হাসিনা রচিত ও সম্পাদিত আরও ১০টি বইয়ের নতুন সংস্করণ চলছে মেলায়। যেগুলোরও ভালো কাটতি হচ্ছে। ১৯৯২ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে বইগুলো প্রকাশ পায়।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ: কিছু চিন্তাভাবনা, সাদাকালো, ওরা টোকাই কেন, সহে না মানবতার অবমাননা, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম-বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা, লিভিং ইন টিয়ারস, পিপল অ্যান্ড ডেমোক্রেসি, আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি (জাতীয় সংসদে প্রদত্ত ভাষণ) এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (বেবি মওদুদের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনা)।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
আইএ/আরআই

** বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী কেনার হিড়িক
** রোদতপ্ত গ্রন্থমেলায় একটু ছায়ার খোঁজ
** ছুটির সকালে মেলায় শিশুপ্রহরের আমেজ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।