ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় খালিদ মারুফের ‘বুনোকুলির রক্তবীজ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
বইমেলায় খালিদ মারুফের ‘বুনোকুলির রক্তবীজ’ ‘বুনোকুলির রক্তবীজ’ খালিদ মারুফের প্রথম উপন্যাস

গ্রন্থমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে কথাসাহিত্যিক খালিদ মারুফের প্রথম উপন্যাস ‘বুনোকুলির রক্তবীজ’। ‘আগামী প্রকাশনী’ থেকে প্রকাশিত ১৯২ পৃষ্ঠার এই বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন শিল্পী সব্যসাচী মিস্ত্রী।

বইয়ের বিষয়ের খালিদ মারুফ বলেন, বাংলাদেশ-ভূখণ্ডের ইতিহাস আশ্রিত একটা রক্তাক্ত অধ্যায়ের প্যানোরমা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে উপন্যাসটিতে। এদিক থেকে এটা হয়তো ওয়ার ফিকশন ক্যাটাগরিতে পড়তে পারে।

কিন্তু যুদ্ধ-উপন্যাসের প্রচলিত পটভূমিজুড়ে যুদ্ধ-অনুষঙ্গের প্রত্যক্ষ ফিরিস্তি ও আবেগের যে অতিরেক চোখে পড়ে, তা এখানে অনুপস্থিত। যুদ্ধ বরং জীবনের সঙ্গে এমনভাবে মিশেছে, গল্পে বর্ণিত জনপদের বাসিন্দাদের জীবনটাই এখানে মোটা দাগে প্রতিফলিত।  

গত ৪ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই উপন্যাসের প্রতিটি চিত্রপট আঁকা হয়েছে বলে জানান তিনি।  

একটা খণ্ড-জনপদের মানুষ তার জীবনলিপ্সা ও সংগ্রামের পথ বেয়ে মুক্তি-অন্বেষার আশায় বিচিত্রা ও বৈভবের অজস্রতায় অগ্রসর হতে থাকে। তাতে স্বতঃস্ফূর্ত সাহসিকতা, প্রজন্মপ্রবাহিত বীরত্ববোধ ও ভূমিজ ঐতিহ্যচেতনা প্রবল বিক্রমে কাজ করে। জীবন-জগতের যে অংশের অভিজ্ঞতা তারই একটা শিল্পভাষ্য রচনা করতে চেয়েছেন খালিদ মারুফ তার ‘বুনোকুলির রক্তবীজ’ উপন্যাসে।  

পুরো উপন্যাসজুড়ে পুলক সঞ্চারের একটা সংক্রামক প্রতিভা আছে, যা সমালোচকের চোখে এক প্রকার প্রলেপ পরিয়ে শুদ্ধ সাহিত্যভোগের লিপ্সাটাকেই প্রধান করে তোলে। নতুন পাঠক তার নিজস্ব চুমুকে উপন্যাসটির তলানিতে পৌঁছে যাবেন নিজের মতো নির্জন অভিজ্ঞতায়।

গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৩ নং প্যাভিলিয়নে (আগামী প্রকাশনী) বইটি পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় হ্রাসকৃত মূল্যে ২৬২ টাকায় বইটি পাওয়া যাবে।  

খালিদ মারুফের জন্ম বাগেরহাট জেলার বেশরগাতী নামক  গ্রামে। পুরো কৈশোর আর যৌবনের কিয়দংশ কেটেছে নড়াইল-গোপালগঞ্জে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিভাগের ছাত্র হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে বাংলা একাডেমিতে কর্মরত।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এমএন/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।