ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

উঁচুতে বই, দেখতে পারছে না শিশুরা

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
উঁচুতে বই, দেখতে পারছে না শিশুরা উচ্চতা বেশি হওয়ায় বই দেখতে অসুবিধা হচ্ছে শিশুদের/ছবি: কাশেম হারুন

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: মেলায় শিশু কর্নারের স্টলগুলো একেবারেই শিশুবান্ধব হয়নি। কেবল দুটি স্টল ছাড়া আর কোনো স্টলই শিশুদের উচ্চতা কথা বিবেচনায় রেখে বই সাজায়নি।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার শিশু প্রহরে বিভিন্ন স্টল ঘুরে লক্ষ্য করা যায় স্টলে সাজানো বই দেখতে অসুবিধা হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের।

বইমেলায় সন্তানদের নিয়ে এসেছেন সাউথপয়েন্ট স্কুলের শিক্ষিকা রিজওয়ানা।

কিন্তু শিশু প্রকাশের স্টলে তিন বছরের ইকরার পক্ষে বই দেখা সম্ভব হচ্ছে না। পায়ের গোড়ালি উঁচু করেও বই দেখতে পাচ্ছে না সে। রিজওয়ানার আরেক মেয়ে ৮ বছর বয়সী সারার জন্যে অবশ্য সমস্যা হচ্ছে না। সে হাতে নিয়ে বই দেখছে।

ইকরার মা বলেন, মেয়ে যে তিন বছর বয়সেই বই কিনবে তা নয়। কিন্তু ধরে দেখতে তো পারতো। এখানে রঙিন মলাট ওকে আকর্ষণ করছে। কিন্তু নাগালে পাচ্ছে না বেচারি!

৫২০ নম্বর স্টল টোনাটুনি প্রকাশনীর। তিন ফুট উচ্চতার নিচে শিশুদের জন্যে এই স্টলের বই দেখা সম্ভব নয়। গুলশান থেকে ৪ বছরের মেয়ে সুমাইয়াকে নিয়ে মেলায় এসেছেন রাহুল কবীর।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, শিশুদের বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে মেলায় নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। শিশুদের বইগুলোর প্রচ্ছদ হতে হয় আকর্ষণীয় রঙের। কিন্তু সেটি কম দেখা যাচ্ছে। আর ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের এই মেলায় নিয়ে আসলে কোলে নিয়ে ঘুরতে হবে পুরোটা। তবে তারাও বড়দের মতোই পাশে দাঁড়িয়ে বই দেখতে চায়।
শিশুদের উপযোগী করে বই সাজিয়েছে মাত্র দুটি স্টল/ছবি: কাশেম হারুন
শিশু প্রকাশের একজন কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা একাডেমীর এমন কোনো নিয়ম নেই, যে শিশু কর্নারের স্টলে বই কত উচ্চতায় রাখতে হবে। আর মাঠে মাটি ভরাট করে স্টল নির্মাণ করায় উচ্চতা বেঁড়ে গিয়েছে। যা শিশুদের নাগালে নেই।

শিশু কর্নারে ৫৫৬, ৫৫৭ নং ইউনিট নিয়ে পাতাবাহারের স্টল। ৫৫৮, ৫৫৯ ও ৫৬০ নং ইউনিট নিয়ে ওয়ার্ল্ড অব চিলড্রেনস বুকের স্টল। এ দুটি প্রকাশনীই শুধুমাত্র দেড় ফুট উচ্চতায় তাদের বই সাঁজিয়েছে। আর কোনো স্টলই আড়াই বা তিনফুটের নিচে নয়।

পাতাবাহারের কর্মী গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, এই বিষয়ে বাংলা একাডেমীর কোনো নির্দেশনা নেই। আমাদের এখানে ৩ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের বই রয়েছে। ফলে সবার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। না হলে যাদের জন্যে বই তারাও দেখতে পাবে না।

বেশ কয়েকটি স্টলেই শিশুদের ছবি আঁকা এবং রং করার বই রয়েছে। যেগুলো ২ থেকে ৫ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্যই বেশি। কিন্তু শিশুদের পক্ষে বইগুলো ধরে দেখা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে একাডেমি বা মেলা কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা নেই।

** শিশু প্রহরে চলছে গাড়ি সিসিমপুরে

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।