ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলার দুয়ারে বসন্ত

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
বইমেলার দুয়ারে বসন্ত বইমেলার দুয়ারে বসন্ত/ ছবি: জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজ

গ্রন্থমেলা থেকে: ফাগুনের হাওয়া গত কদিন ধরেই লেগেছে বইমেলায়। শেষ বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে কোকিলের কুহু কুহু ডাকও ভেসে আসে। আর মেলায় আগত শিশু ও নারীরাও এসেছে রঙিন সাজে।

মাথায় ফুলের মুকুট পড়ে বা খোঁপায় ফুল দিয়ে মেলায় ঘুরছেন নারীরা। মেলায় বসন্ত আনতে রমনীদের উদ্যোগটাই বেশি চোখে পড়ে।

হাসি আর রঙে যেন বসন্তের বার্তাই বয়ে আনেন তারা।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেলার বারোতম দিনে গত দুদিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম। তবে প্রকাশকরা বলছেন আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে। বিকেল তিনটায় শুরু হয়ে মেলা শেষ হয় রাত সাড়ে আটটায়।

মেলায় নতুন বই এসেছে ৯৬টি, এরমধ্যে ৩১টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মাচন হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় দীনেশচন্দ্র সেনের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীর আলাচনা অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। আলাচনায় অংশ নেন ড. মাহবুবুল হক এবং ড. এম আবদুল আলীম। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম। বইমেলার দুয়ারে বসন্ত/ ছবি: জি এম মুজিবুর- বাংলানিউজ

প্রবন্ধ উপস্থাপনায় সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গবেষণা, বাংলা সাহিত্যকে সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অধ্যয়নের উপযোগী করে গ্রন্থ প্রণয়ন করেন দীনেশচন্দ্র সেন। তিনি সংকলন-সম্পাদনার মাধ্যমে পূর্ববাংলার লোকসাহিত্যকে বিশ্বপরিমণ্ডলে জনপ্রিয় করে তোলায় ভূমিকা পালন করে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

অপরিসীম সাহিত্যানুরাগী ও দেশকল্যাণব্রতী দীনেশচন্দ্র সেন জীবন জিজ্ঞাসা ও শিল্পদৃষ্টির নক্ষত্র ছিলেন। আধুনিক, আবেগময়, জাতীয়তাবোধ ও বিশ্বাত্মবোধপুষ্ট এবং আভিজাত্যের জীবনচেতনার উদ্দীপ্ত উদাহরণ তিনি।

আলোচকরা বলেন, গীতিকা সাহিত্য সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনায় দীনেশচদ্র সেন যা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছন তা অনন্য। উদার, অসাম্প্রদায়িক ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিভার বলেই তিনি জাতীয় সীমারেখা অতিক্রম করে বৈশ্বিক পরিমণ্ডল পরিচিতি পেয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউম বলন, ড. দীনেশচদ্র সেন একজন বরেণ্য মনীষী যিনি আজীবন সাহিত্য গবেষণা, লোকসাহিত্যের উপাদান সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও শিল্পদৃষ্টি দেশ ও বিদেশে তাকে বিশিষ্ট মর্যাদার আসন দান করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।