ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

চিকিৎসকদের বই চলছে ভালো

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
চিকিৎসকদের বই চলছে ভালো অমর একুশে গ্রন্থমেলা/ছবি: জিএম মুজিব‍ুর

গ্রন্থমেলা থেকে: মেধাবী চিকিৎসকরা শুধু রোগী দেখাতেই ভালো নন, বই লেখাতেও কম যান না তারা। এ কারণেই চিকিৎসকদের বই ছাপাতে প্রকাশকরাও বেশ আগ্রহী। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে, চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যের বই ভালো চলছে বলেও জানিয়েছেন বইমেলার বিক্রেতারা।

মাদক নিরাময় সংস্থা (মানস) এর আহ্বায়ক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসকদের বইগুলো মানুষ বাসায় রাখে। কারণ, নিজেদের সুস্থতার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছেন। তাই নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকেন। চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যের বইয়ের চাহিদা এই কারণেই বেশি। দেখা যায় ঘরে একটি গল্প, উপন্যাসের বই পড়ার পর প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসার বইটি নিজেদের সচেতনতার কাজে লাগে সারাজীবন।

চিকিৎসকদের লেখার অভ্যাস সর্ম্পকে তিনি বলেন, অনেক চিকিৎসকই শিক্ষাকাল থেকেই লেখালেখি করেন, অভ্যাসটা গড়ে তোলেন। আর চিকিৎসক হয়ে ওঠার পর থেকে নিজেদের দ্বায়িত্ববোধ থেকে লেখেন। রোগীদের সচেতনতা তৈরির তাগিদ থেকেই তারা বই লেখেন।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, অনেক প্রকাশনীতেই রয়েছে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক বেশকিছু বই। বইগুলোর কাটতিও ভালো বলে জানা যায়।

অন্বেষা প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে সামরিক চিকিৎসক ডা. কর্নেল নাজমা বেগমের, ‘শিশুর বিকাশ খাদ্য, পুষ্টি ও চিকিৎসা সেবা’ নামের বইটি। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. আবু সাঈদ শিমুলের ‘বাচ্চা খেতে না চাইলে কী করবেন’ নামের বইটি বেশ চলছে বলে জানান বিক্রেতা।

পুথি নিলয় প্রকাশনী থেকে এসেছে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শাহজাদা সেলিমের বই, ‘গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ও থায়রয়েড হরমোনজনিত সমস্যায় করণীয়’ এবং ডা. ফজলুল কবিরের ‘দেহের যত অসুখ বিসুখ’।

প্রকাশনীর ম্যানেজার তুষার বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসকদের বই ভালো বিক্রি হয়। মেলায় যেমন বিক্রি হয়, তেমনি পরে চিকিৎসকদের নিজেদের চেম্বারেও বিক্রি হয় বইগুলো। মানুষের শারীরিক সমস্যার সঙ্গে বইগুলো সংযুক্ত বলেই বিক্রি ভালো।

শোভা প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহর বই ‘এইসব রোগব্যাধি প্রতিরোধের নানা উপায়’। ডা. আবু সাঈদের, ‘কোন বাচ্চা কী খাবে’। মেলার ১৯ দিনে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ২২ টি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএন/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।