ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বইমেলা

ময়মনসিংহে শহরে বসলো ৬ দিনব্যাপী বইমেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
ময়মনসিংহে শহরে বসলো ৬ দিনব্যাপী বইমেলা

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ শহরের টাউন হল মাঠে শুরু হয়েছে ৬ দিনব্যাপী বইমেলা। এতে অংশ নিয়েছে ঢাকাসহ দেশের খ্যাতনামা বেশ কিছু প্রকাশনী।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বইমেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু এমপি ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

মেলা উদ্বোধনকালে বক্তৃতায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ রুখতে আগামী বছর মুজিব বর্ষে দেশের ৪৯৩টি উপজেলায় রোডমার্চ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এক্ষেত্রে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পাশে চেয়ে খালিদ বাবু বলেন, আমাদের গ্রামে গ্রামে ইসলামী সভা হয়। সাঈদী (যুদ্ধাপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডিত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) সেখানে বক্তব্য রাখেন এই রাষ্ট্র এবং এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে। আর ড. জাফর ইকবাল যদি সেরকম সভাটি রাষ্ট্রের পক্ষে এই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে করেন, আমার মনে হয় জঙ্গিবাদ সহজেই আমরা রুখতে সক্ষম হবো।  

‘আপনি (জাফর ইকবাল) যদি এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন আমরা চেষ্টা করবো মন্ত্রণালয় থেকে সারা বাংলাদশে ৪৯৩টি উপজেলাতে মুজিব বর্ষে রোডমার্চ করতে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা এই রোডমার্চের আয়োজন করবো। ’ 

আগামী বছর দেশের ৪৯৩টি উপজেলায় বইমেলা করার সিদ্ধান্তের কথাও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আগামী বছর মুজিব বর্ষ। এই উপলক্ষে ১০১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। আমাদের শ্রদ্ধেয় ড. জাফর ইকবাল সাহেব সেই কমিটির সদস্য।  

‘আমরা আগামী বছর ৪৯৩টি উপজেলায় বইমেলা করার একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেখি কতটুকু সফল হতে পারি। আর এই বছর দেশের ৬৪টি জেলায় বইমেলা করতে চাচ্ছি। প্রকাশকদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই কথা হয়েছে। জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও মুদ্রণ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে এখন ৮টি বিভাগীয় শহরে বইমেলা করতে যাচ্ছি। তারপর পর্যায়ক্রমে সব জেলাতে যাবো। ’

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. সুভাষ চন্দ্রের সভাপতিত্বে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার নিরঞ্জন দেবনাথ, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) মো. শওকত আলী, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন, কবি ও নাট্যকার ফরিদ আহমদ দুলাল।  

ঢাকার জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের উদ্যোগে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি ও বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অংশগ্রহণে মেলায় ৭৬টি স্টল স্থান পেয়েছে।  

যে প্রতিষ্ঠানগুলোর স্টল বসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বেহুলাবাংলা, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড, মাওলা ব্রাদার্স, চন্দ্রাবতী একাডেমি, অন্বেষা প্রকাশন, অন্যপ্রকাশ, অনুপম প্রকাশনী, তাম্রলিপি, আগামী প্রকাশনী, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড।  

প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
এমএএএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।