বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার দুয়ার খুলতেই প্রকৃতির রঙে নিজেদের সাজিয়ে নেওয়া পাঠক-দর্শনার্থীরা প্রবেশ করে মেলা চত্বরে। বসন্ত না এলেও তার আগমনী বার্তায় মেলায় লেগেছিল ফাল্গুনের রঙ।
বিকেলে কথা হয় ধানমন্ডি থেকে সপরিবারে আসা তানিয়া আফরিনের সঙ্গে। মাঘের শেষ বিকেলটিতে ছোট্ট ছেলে-মেয়েসহ স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সেজেছেন বসন্তের রঙে। কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বই কেনার জন্য মেলায় আগেই এসেছি। বাচ্চাদেরও নিয়ে এসেছি শিশুপ্রহরে। তবে শীতের শেষ আর বসন্ত শুরুর সন্ধ্যাটার স্বাক্ষী হতেই সবাই মিলে আজ চলে এলাম ঘুরতে। যদিও আজ বই কেনার ইচ্ছে নেই, তবুও হয়তো শেষবেলা কিনে নেবো দুটো বই।
বিকেলে মেলা ঘুরে দেখা যায়, গোটা মেলা চত্বরজুড়েই ছিল এমন দৃশ্য। শীতের শুষ্কতাকে বিদায় করে, সজীবতার আহ্বান জানিয়ে বইপ্রেমীরা এসেছেন বইমেলায়। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় এদিন নবীন পাঠকরাই মুখর করে তুলেছেন মেলা প্রাঙ্গণ। বই কেনার পাশাপাশি আড্ডা-গল্পে মেতে ছিলেন সবাই।
শীতের এ শেষ বিকেলে একটু ভিড়ই আশা করছিলেন প্রকাশকরা। তবে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেচা-কেনা বেশি হবে বলেই মনে করছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে প্রিয়মুখ প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদ ফারুক বলেন, মেলা আস্তে আস্তে জমে উঠছে। বইয়ের বিক্রি বাড়ছে প্রতিদিনই। অন্যবার ভালোবাসা ও ফাল্গুন উৎসব আলাদা হতো বলে দুটো দিন পাঠকের ভিড় থাকতো বেশি। এবার একই দিনে হওয়ায় এবং ছুটির দিন হিসেবে শুক্রবার মেলা আরও বেশি জমে উঠবে বলে আশা করছি।
বসন্তের আগমনী ছোঁয়া শুধু পাঠকের মাঝেই নয়, রাঙিয়ে তুলেছিল বইমেলার স্টলের বিক্রয়কর্মীদেরও। শুধু ভিড়ই ছিল না, ছিল প্রকাশকদের মুখে হাসি ফোটানোর মতো বিক্রিও। মেলার প্রায় প্রতিটি স্টলেই ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এইচএমএস/ওএইচ/