ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

অমর একুশে গ্রন্থমেলা: পাঠক বাড়ছে মননশীল বইয়ের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০
অমর একুশে গ্রন্থমেলা: পাঠক বাড়ছে মননশীল বইয়ের মেলায় বাড়ছে মননশীল বইয়ের পাঠক। ছবি: ডিএইচ বাদল

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২০’ এ নতুন আসা বইয়ের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজারের ঘর। বরাবরের মতো এবারও নতুন বই প্রকাশের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে কাব্যগ্রন্থ। বিক্রির ক্ষেত্রে এগিয়ে অবশ্য গল্প ও উপন্যাস। এসবের ফাঁক গলে ‘সিরিয়াস’ বই হিসেবে খ্যাত প্রবন্ধ, গবেষণার বইগুলোর বিক্রিও ভালো বলে জানিয়েছেন প্রকাশকরা। তাদের মতে, মননশীল এসব বইয়ের পাঠক বাড়ছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গ্রন্থমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ জানিয়েছে, সোমবার মেলার ১৬তম দিন পর্যন্ত একাডেমির তথ্যকেন্দ্রে প্রচারের জন্য ২ হাজার ৪৭৫টি নতুন বই জমা পড়েছে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও হাজারখানেক বেশি বলেই জানা যায়।

এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৭২০টি কবিতার বই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উপন্যাস ৩৯৯টি এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে গল্পের বই ৩৩৮টি। মননশীল বই হিসেবে পরিচিত প্রবন্ধের বই রয়েছে ১৩৫টি ও গবেষণার বই ৪৭টি।

এবারের মেলায় আসা প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও গবেষণার নতুন বইগুলোর মধ্যে রয়েছে আনিসুজ্জামানের ‘সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতি’ ও আকবর আলি খানের ‘দরিদ্রের অর্থনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ (প্রথমা), হাসান আজিজুল হকের ‘আমার রবীন্দ্রযাপন’ (ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ), বদরুদ্দীন উমরের ‘স্মারক বক্তৃত্বা’ (সুবর্ণ), মফিদুল হকের ‘ব্যক্তিত্ব ও বাঙালির সমাজ মুক্তিসাধনা’ (বিদ্যাপ্রকাশ), সন্জীদা খাতুনের ‘রবীন্দ্রকবিতার গহনে’ ও কামরুল আহসান চৌধুরীর ‘সমাজতত্ত্ব ও ধ্রুপদী চিন্তাধারা’ (শোভাপ্রকাশ), শামসুজ্জামান খানের ‘আধুনিক ফোকলোর চিন্তা’ (বাংলাপ্রকাশ), সৌরভ সিকদারের ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিবর্তন’ (মাওলা ব্রাদার্স), আবুল কাসেম ফজলুল হকের ‘সাহিত্যজিজ্ঞাসা সাহিত্যসৃষ্টি ও সাহিত্যবিচার’ (আগামী প্রকাশনী), ‘সমাজ রাষ্ট্র বিবর্তন’ (বেঙ্গল পাবলিকেশন্স), গোলাম মুরশিদের ‘রবীন্দ্রনাথের নারী-ভাবনা’ (অবসর), আবদুল মান্নান সৈয়দের ‘দশ দিগন্তের দ্রষ্টা’ ও ‘করতলে মহাদেশ’ (অবসর), পিয়াস মজিদের ‘এক পৃথিবী বইয়ের বাড়ি’ ও আবেদীন কাদেরের ‘বড়ো বেদনার মতো বেজেছ’ (বেঙ্গল পাবলিকেশন্স), আহমদ রফিকের ‘রাজা আসছেন কুঁড়েঘরে’ ও ‘কবিতা আধুনিকতা ও বাংলাদেশের কবিতা’ (অনিন্দ্যপ্রকাশ), অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদের ‘দিনলিপি: বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩’, আসিফ নজরুলের ‘আওয়ামী আমল ২০১৪-২০১৯’ ও সুভাষ সিংহ রায়ের ‘জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ (অনন্যা), মুনতাসীর মামুনের ‘হৃদয়নাথের ঢাকা শহর’, মোজাফফর হোসেনের ‘দক্ষিণ এশিয়ার ডায়াসপোরা সাহিত্য’ ও বদিউর রহমানের ‘বার্টান্ড্র রাসেল: দর্শনের সমস্যা’ (পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স), স্বকৃত নোমানের ‘টুকে রাখা কথামালা’, পিয়াস মজিদের ‘কবিতার কায়া ও কুসুম’ (বিদ্যাপ্রকাশ), সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘একই সূত্রে গাঁথা’, হাসান আজিজুল হকের ‘রাজনীতির অলিগলি’ ও আবুল কাশেম ফজলুল হকের ‘বাংলাদেশের প্রবন্ধ সাহিত্য’ (কথাপ্রকাশ), অজয় দাশগুপ্তের ‘বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন কৌশল ও হরতাল (বাংলা একাডেমি), মহিউদ্দিন আহমদের ‘বেলা-অবেলা: বাংলাদেশ ১৯৭২-১৯৭৫’ (বাতিঘর), মেহেদী উল্লাহের ‘ফোকলোর তত্ত্বপ্রয়োগচরিত’ (দেশ পাবলিকেশন্স)।

মননশীল বইয়ের বিষয়ে জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি এবং সময় প্রকাশনের স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, শুধু প্রবন্ধের বইয়ের পাঠক সে অর্থে বাড়েনি। তবে প্রবন্ধ, গবেষণা, আত্মজৈবনিক, ভ্রমণের মতো মননশীল বইয়ের পাঠক নিয়মিত বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
ডিএন/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।