বইমেলা থেকে: সরকারি ছুটিতে একদিকে যেমন অফিস-আদালত বন্ধ, রাস্তাঘাটও ছিল বলতে গেলে ফাঁকা। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ১৫ লাখ বর্গফুটের বিশাল প্রান্তরে ছিল বইপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সরকারি ছুটির দিন থাকাতে এদিনের মেলায় ভিড় থাকাটাই স্বাভাবিক ছিল। প্রকাশকরাও দু’দিন আগেই বলেছিলেন সোমবার পবিত্র শবে বরাতের পর মঙ্গলবার অমর একুশে বইমেলার ১৩তম দিনে বইপ্রেমীদের উপস্থিতি বাড়বে।
এদিন মেলা ঘুরে দেখা যায়, প্রকাশকদের সে ধারণা সত্যি হয়েছে। মেলার প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে ঘুরে বইপ্রেমীরা বই কিনেছেন। বয়স, শ্রেণি ও রুচিভেদে গল্প, উপন্যাস, সায়েন্সফিকশন, গোয়েন্দাকাহিনীর বই এদিন বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থায় কর্মরতরা। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবারের বইমেলাও বিগত কয়েক বছরের সফলতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পারিজাত প্রকাশনীর শওকত হোসেন লিটু বলেন, মানুষ প্রাণের টানেই বইমেলায় আসছে। আর বইও কিনছে। এবারের মেলা নিয়ে যে শংকা ছিল সেই শংকা গত কয়েকদিনে কেটে গেছে। প্রথম সপ্তাহে শুধু দর্শনার্থীরা মেলায় এলেও এখন প্রকৃত বইপ্রেমীরা আসছেন, আর প্রত্যেকেই বই কিনছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবারের মেলা নিয়ে আশাবাদী।
বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে কথা হয় রাজধানীর বনশ্রী থেকে মেলায় আগত জান্নাতুন নাঈমের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রাণের টানেই বইমেলায় আসি। প্রতিবারই আসি। করোনার আতংকে এবারের মেলায় আসবো কি আসবো না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। অবশেষে না এসে থাকতে পারলাম না।
এদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় মেলার সময়সীমা এক ঘণ্টা কমানো হয়েছে। অর্থাৎ রাত ৯টার পরিবর্তে এখন থেকে মেলার প্রবেশদ্বার বন্ধ হবে রাত ৮টায়। সঙ্গে বন্ধ রয়েছে মূল মঞ্চের আয়োজন। বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নতুন বই: বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগের তথ্যমতে, মঙ্গলবার মেলায় নতুন বই এসেছে ১১২টি। এর মধ্যে গল্পের বই ৮টি, উপন্যাস ১২, প্রবন্ধ ৮, কবিতা ৫০, গবেষণা ২, ছড়া ১, শিশুসাহিত্য ১, জীবনী ২, মুক্তিযুদ্ধ ১, বিজ্ঞান ৪, ভ্রমণ ২, ইতিহাস ১, রাজনীতি ১, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক ৪, ধর্মীয় ১, অনুবাদ ১, সায়েন্স ফিকশন ১ ও অন্যান্য ১২টি বই। আগামীকাল মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
এইচএমএস/এএ