ঢাকা: একুশে বইমেলায় এসেছে মেসবাহ শিমুলের ‘মানুষ হওয়ার কবিতা’। এটি মূলত একটি সংকলনগ্রন্থ।
মোট ৩৩টি কবিতার সঙ্গে রয়েছে শিশুদের উপযোগী করে লেখা কবিতার সারাংশ ও কবি পরিচিতি। পাশাপাশি রয়েছে প্রত্যেকটি কবিতার সঙ্গে মিলিয়ে চাররঙা অলঙ্করণ। ছবিগুলো শিশুমনে গেঁথে থাকার মতো।
১১২ পৃষ্ঠার নান্দনিক এ বইটির প্রকাশক সরলরেখা প্রকাশনা সংস্থা। প্রকাশক নাজমুস সায়াদাত বইটিকে একটি সেরা ও আকর্ষণীয় বই হিসেবে পাঠকের হাতে তুলে দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
তার মতে, এ ধরনের বই বুড়োরা পড়লে নষ্টালজিক হবে। আর শিশুরা পড়লে হবে আন্দোলিত। তাদের মননে অঙ্কুরিত হবে মানবিকতার বীজ। যা একদিন ফুলে-ফলে শোভিত করবে পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রকে।
বইটির প্রচ্ছদ ও যাবতীয় অলংকরণ করেছেন প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী লুৎফি রুনা। তার হাতের জাদুতে পুরনো কবিতাগুলো হয়ে উঠেছে জ্বলজ্বলে। জুতসই অলঙ্করণে পুরো গ্রন্থটি যেন ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যান। এর পরতে পরতে ঠিকরে পড়ে অপার সৌন্দর্য।
মেসবাহ শিমুল একজন পেশাদার সাংবাদিক। দেশের প্রথম প্রাইভেট রেডিও স্টেশন রেডিও টুডে’র সিনিয়র রিপোর্টার। কাজ করেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নবযুগের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবেও।
এর আগে, তার উপন্যাস মরা নদী বলেশ্বর ও গল্পগ্রন্থ অভিমানী সেই মেয়েটি পাঠক মহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
টিআর/এএটি