ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

‘চাইলে অন্য প্রতিষ্ঠান বইমেলার দায়িত্ব নিতে পারে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
‘চাইলে অন্য প্রতিষ্ঠান বইমেলার দায়িত্ব নিতে পারে’ অমর একুশে বইমেলা ২০২২ এর সমাপনী অনুষ্ঠান | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: অনেক প্রকাশক এবং ব্যক্তি মনে করেন, অমর একুশে বইমেলা বাংলা একাডেমি না করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের করা উচিত। এমন অবস্থায় চাইলে অন্য প্রতিষ্ঠান বইমেলা আয়োজনের দায়িত্ব নিতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. মো. জালাল আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে অমর একুশে বইমেলার শেষ দিনে বইমেলার মূল প্রতিবেদন উপস্থাপনে একথা বলেন মেলা আয়োজক কমিটির এই সদস্য সচিব।

এ সময় আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা।

প্রতিবেদন উপস্থাপন করে জালাল আহমেদ বলেন, আমাদের প্রকাশক সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে কেউ কেউ বইমেলা আয়োজন এবং মেলার বিন্যাস নিয়ে প্রতি বছর বিভিন্ন পরামর্শ দেন। এসব পরামর্শ অনুসরণ করে মেলা আয়োজনের চেষ্টা করা হয়। এ ধরনের পরামর্শ ছাড়া কিছু মৌলিক বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতি বছর দাবি উত্থাপিত হয়। আমরা মনে করি, এসব নিয়ে কথা বলা যেতে পারে।

বইমেলা ২০২২ এর মূল প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকাশকরা বলছেন—বইমেলার আয়োজন বাংলা একাডেমির নয়, প্রকাশকদের সমিতিগুলো করতে পারে। আমরাও মনে করি—বইমেলার আয়োজন প্রকাশকদের সমিতি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র বা সরকার মনোনীত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানও করতে পারে। তবে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার দাবি রাখে তা হলো, বইমেলা আয়োজনের দায়িত্ব বাংলা একাডেমিকে দেশের মানুষ, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে। এই দায়িত্ব একাডেমি দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে পালন করে আসছে। আমাদের প্রিয় লেখক-সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বইমেলা এখন কেবল আয়োজন নয়, এটি দেশের অন্যতম গর্বের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্র ও সরকার যদি মনে করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি থেকে আরও ভালোভাবে আয়োজন করতে পারবে তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানকে সেই দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।

লিখিত প্রতিবেদন থেকে জালাল আহমেদ বলেন, সফল আয়োজক হিসেবে এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছে বলে একাডেমি নিজে থেকে বলতে পারবে না যে, আমরা আর দায়িত্ব পালন করবো না। যারা এই দায়িত্ব নিতে চান তারা সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন। তবে আমরা মনে করি, মেলা শুরুর পর বা মেলার শেষের দিকে না বলে মেলা শেষ হওয়ার পর এই বিষয়ে উদ্যোগ নিলে যথাযথ পদক্ষেপ হবে। তা না হলে এটি কেবল কথার কথা হিসেবে গণ্য হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।